ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে ১৪ মাসেই কোরআনে হাফেজ হয়ে বিস্ময় সৃষ্টি করেছে প্রবল মেধা ও মুখস্থ শক্তির অধিকারী ৯ বছরের শিশু মো. মুজাহিদুল ইসলাম। মুজাহিদ অল্প সময়ের মধ্যে ৩০ পারা কোরআন মুখস্ত করে পরিবার, এলাকাবাসী ও শিক্ষকদের অবাক করে দিয়েছে।
সোমবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে মুজাহিদ কোরআনে হাফেজ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন জামিয়া রশিদিয়া ছতরপুর মাদরাসার প্রিন্সিপাল মুফতি রহমতুল্লাহ কাসেমী।
বিজ্ঞাপন
মুজাহিদ বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের মহেষপুর গ্রামের পাক্কাবাড়ী এলাকার ইসমাঈল ভূইয়ার ছেলে। বিজয়নগর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামিয়া রশিদিয়া ছতরপুর মাদরাসার ছাত্র।
মুজাহিদের বাবা ইসমাঈল ভূইয়া জানান, ছোটবেলা থেকেই কোরআন হিফজের বিষয়ে মুজাহিদের প্রবল ইচ্ছা ও আকর্ষণ ছিল। মাদরাসায় ভর্তির জন্য মুজাহিদ নিজেই বায়না ধরলে তাকে ২০২২ সালে জামিয়া রশিদিয়া ছতরপুর মাদরাসায় (নূরানি) বিভাগে ভর্তি করি। পরবর্তীতে ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে নূরানির পাশাপাশি হেফজ বিভাগে পবিত্র কোরআন সবক শুরু করে। মাত্র ১৪ মাসের মধ্যেই মুজাহিদ ৩০ পারা কোরআন মুখস্ত করে কোরআনের হাফেজ হয়।
মুজাহিদের ওস্তাদ ও হেফজ বিভাগের প্রধান শিক্ষক হাফেজ মাওলানা হুসাইন আহমদ বলেন, মুজাহিদ মাত্র সাড়ে ১৪ মাসে ৩০ পারা হেফজ করে প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছে।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, প্রতিদিনই মুজাহিদের কোরআনের সবক নিয়েছি। সে খুবই পরিশ্রমী ও মেধাবী ছাত্র। মুজাহিদ বড় হয়ে একজন ইসলামিক স্কলার হতে চায়।
জামিয়া রশিদিয়া ছতরপুর মাদরাসার প্রিন্সিপাল মুফতি রহমতুল্লাহ কাসেমী বলেন, মুজাহিদুল ইসলাম মাত্র ৯ বছর বয়সে অসাধারণ প্রতিভা দেখিয়ে কোরআনের হাফেজ হয়েছে। তার এই অর্জনে মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষক সকলেই আনন্দিত। সঠিক দিক-নির্দেশনা অনুসরণ করে চলেছে সে। হাফেজ হতে তার প্রবল ইচ্ছা আর আকাঙ্খা ছিল। মুজাহিদ আমাদের প্রতিষ্ঠানের সুনাম বৃদ্ধি করেছে। আল্লাহ তার ভবিষ্যত জীবনকে ইসলামের পথে কবুল করুক।
প্রতিনিধি/এসএস