টানা বৃষ্টিতে নেত্রকোনার প্রধান প্রধান নদ-নদীর পানি বেড়ে বিপদসীমার কাছাকাছি পৌঁছেছে। দুই-একটি নদীর পানি ধীরে ধীরে বাড়ছে। আবার কোনো কোনো নদ-নদীর পানি কমছে।
এতে করে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার উপক্রম হয়েছে। তবে বাড়ি-ঘরে পানি উঠেনি।
বিজ্ঞাপন
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, ভারতে বৃষ্টির কারণে আগামী ২৪ ঘণ্টা পানি বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা পানি কমতে থাকবে। তবে বন্যার আশঙ্কা নেই।
শনিবার (৫ অক্টোবর) বিকেল তিনটার সর্বশেষ তথ্যে পাউবো জানায়, জেলার উপদাখালি নদীর পানি বেড়ে বিপদসীমার শূন্য দশমিক ৩৪ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কংশ নদের পানি বেড়ে জারিয়া-জাঞ্জাইল পয়েন্টে বিপদসীমার শূন্য দশমিক ৫৮ মিটার নিচ দিয়ে বইছে। খালিয়াজুরীতে ধনু নদী পানির পানি বিপদসীমার ২ দশমিক শূন্য ৩ মিটার নিচ দিয়ে বইছে।
কলমাকান্দা উপজেলার পোগলা ইউনিয়নের পাঁচগড়া গ্রামের বাসিন্দা সিদ্দিক মিয়া বলেন, দুদিন ধরে অনেক বৃষ্টি হচ্ছে। বাড়ির কাছাকাছি এসে পড়েছে। ভয়ে আছি যেকোনো সময় বাড়ির ভেতরে পানি চলে আসে কিনা।
বিজ্ঞাপন
একই উপজেলার কৈলাটি ইউনিয়নের কনুড়া গ্রামের বাসিন্দা রেহান উদ্দিন বলেন, বৃষ্টি আর নদীর পানি সমানতালে বাড়ছে। এভাবে বৃষ্টি চললে বাড়ির কাছে পানি চলে আসবে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সারোয়ার জাহান জানান, কয়েক দিনের বৃষ্টিতে পানি বেড়েছে। তবে এখনও বিপদসীমা অতিক্রম করেনি। আবহাওয়া পূর্বভাস অনুযায়ী আগামী ২৪ ঘণ্টা ভারতে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এতে পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিতে পানি বাড়তে পারে। তবে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত কমে গিয়ে পানি কমতে থাকবে। এতে পরিস্থিতির উন্নতি হবে। তবে এতে বন্যার কোনো শঙ্কা নেই বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।
এদিকে পানি বৃদ্ধির খবরে দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা এলাকা পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস। তিনি বলেন, পানি এখন পর্যন্ত নিম্নাঞ্চলে রয়েছে। বাড়ি-ঘর থেকে অনেক দূরে রয়েছে। বন্যা পরিস্থিতির কোনো অবস্থা হয়নি। আমরা সর্তকভাবে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি। পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেব।
প্রতিনিধি/এসএস