ফেনীতে গত ৪ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে সমাবেশে হামলা, গুলি-ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতদের দায়ের করা বিভিন্ন হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৪ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার পুলিশ।
বুধবার (২ অক্টোবর) দুপুরে তাদেরকে ফেনীর আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
পুলিশ জানায়, গত মঙ্গলবার রাতে জেলার বিভিন্ন থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে গত ৪ আগস্ট ফেনীর মহিপাল এলাকায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত সন্দেহভাজন ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন- সোনাগাজী পৌর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নুর আলম মিস্টার (৪৮), সোনাগাজী উপজেলা ছাত্র লীগের সহ সভাপতি মুন্না আজিজ (৩০), পরশুরাম পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্র লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী (২১), ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইব্রাহিম মজুমদার (৪২), দাগনভঁইয়া পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জিয়া উদ্দিন মাসুদ (৪৬), দাগনভূঁইয়া পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম রাজিব (৩৯), দাগনভূঁইয়া পৌর ছাত্র লীগের সহ সম্পাদক সাইমুন ইসলাম রাহীম (২২), ছাগলনাইয়া থানা ছাত্র লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শওকত হোসেন রুবেল (৩৩), ফুলগাজীর আনন্দপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো.মজিবুল হক (৬৬), আমজাদ হাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উত্তর ধর্মপুর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্পাদক আবদুল জাব্বার (৬০), মুন্সিরহাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য আবদুল মোতালেব ভুইয়া (৫৪), দাগনভূঁইয়া উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আবুল খায়ের পাটোয়ারী (৬৩), ছাগলনাইয়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কর্মী মো. সোহাগ (২৯) ও ফেনী সদর উপজেলার বালিগাঁও ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাহফুজ মিয়া (৪৬)।
বিজ্ঞাপন
ফেনী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্ম সিংহ ত্রিপুরা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহতদের স্বজনদের দায়ের করা বিভিন্ন হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
প্রতিনিধি/এসএস