নাটোরে প্রণোদনায় কৃষি উপকরণ না পাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ইসরাত জাহান নামে এক উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে রড দিয়ে পিটিয়েছেন এক কৃষক। সদর উপজেলার তেবাড়িয়া ইউনিয়নের একডালা নারায়ণপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: পাচারের শিকার ৯ বাংলাদেশি নারীকে হস্তান্তর করেছে ভারত
এ ঘটনায় অভিযুক্ত কৃষকের নাম মো. মিলন। তিনি একডালা এলাকার বাসিন্দা। তবে কৃষক মিলন এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
কৃষি কর্মকর্তা ইসরাত জাহান বর্তমানে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহত এ কৃষি কর্মকর্তা বলেন, বিভিন্ন সময় কৃষকের জন্য সরকারের প্রণোদনা আসে। সেগুলো আমরা পর্যায়ক্রমে কৃষকদের দিয়ে থাকি।
তিনি বলেন, নিয়মিত পরিদর্শনের অংশ হিসেবে বুধবার বিকেলে একডালা নারায়ণপাড়ায় এক কৃষকের ফসল দেখতে যাই। সেখানে মিলন নামে আরেক কৃষক আমার কাছে এসে জানতে চান, কেন তাকে এ বছর প্রণোদনা দেওয়া হয়নি। আমি তাকে বুঝিয়ে বলি যে সরকারের কাছ থেকে নির্দিষ্ট সংখ্যক প্রণোদনা আসে, এগুলো পর্যায়ক্রমে সব কৃষককে দিতে হয়।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে মোবাইল চুরির ঘটনায় স্কুলছাত্র নিহত
কৃষি কর্মকর্তা বলেন, এর আগে তাকে (মিলনকে) প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে, পরে আবার তিনি প্রণোদনা পাবেন বলে আশ্বস্ত করা হয়। তবে, বিষয়টি নিয়ে ওই কৃষক আগে থেকেই ক্ষুব্ধ ছিলেন। একপর্যায়ে কৃষক মিলন ক্ষিপ্ত হয়ে তার হাতে থাকা রড দিয়ে কৃষি কর্মকর্তার মাথায় আঘাত করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
তবে অভিযুক্ত কৃষক নাম মো. মিলন বলেন, কৃষি কর্মকর্তার স্বামী মো. রানার কাছে আমি টাকা পাবো। টাকার কথা বললে তিনি গালিগালাজ করতে শুরু করেন। তখন রাগ করে আমি ঘটনাস্থলে পড়ে থাকা এক শ্রমিকের ব্যাগ তার দিকে ছুড়ে মারি। ব্যাগে শক্ত কিছু ছিল, তাতে তার মাথা কেটে যায়। আসলে আমি তাকে মারার উদ্দেশ্যে মারিনি।
এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নাটোরের উপ-পরিচালক মো. আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ধরনের হামলা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। উপজেলা কৃষি অফিস তার সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর রাখছে। এ বিষয়ে আইনিসহ সব সহযোগিতা তাকে করা হবে।
নাটোর সদর থানার ওসি (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় এখনও কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রতিনিধি/ এমইউ