বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

নিখোঁজের ২ দিন পর ধানখেতে মিলল কিশোরের গলিত মরদেহ

জেলা প্রতিনিধি, রাজবাড়ী
প্রকাশিত: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:২১ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img

রাজবাড়ীতে নিখোঁজের ২ দিন পর মিনহাজুল শেখ (১২) নামে এক কিশোরের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতে পরিবারের দাবি, মিনহাজুলকে হত্যা করে লাশ ধানক্ষেতে ফেলে রাখা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টার দিকে সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের পূর্ব ভবদিয়া গ্রামের এক ধানখেত থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।


বিজ্ঞাপন


এর আগে রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে ওই গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় মিনহাজুল।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. ইফতেখারুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মিনহাজুল ওই গ্রামের আজাদ শেখের ছেলে।

মিনহাজুলের মা খাজিজা বেগম বলেন, রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে মিনহাজুল খেলতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর সে তার বন্ধু সুমনের সঙ্গে স্থানীয় মোক্তার শেখের মাল্টার বাগানে যায়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। আমরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান পাইনি। মাল্টা বাগানে খোঁজার জন্য মোক্তার শেখের কাছে বার বার বাগানের গেটের চাবি চাইলেও তারা দেয়নি। পরে এ ঘটনায় সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) আমরা রাজবাড়ী সদর থানায় জিডি করি। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টার দিকে মোক্তার শেখের মাল্টা বাগানের পাশে এক ধানখেতে আমার ছেলের লাশ পাওয়া যায়।


বিজ্ঞাপন


মোক্তার শেখের মাল্টা বাগানে ঢুকে ফল খাওয়ার কারণে সে আমার ছেলেকে কারেন্টের শক দিয়ে হত্যার পর জিহ্বা কেটে দিয়েছে। তার হাত-পা কেটে লাশ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ধানখেতে ফেলে রেখেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

তবে স্থানীয়রা বলছেন, মোক্তার শেখ তার মাল্টা বাগানের চারপাশে জিআই তার দিয়ে ঘিরে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে রাখতেন। হয়তো মাল্টা বাগানে ঢোকার সময় মিনহাজুল বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায়। পরে বাগানের মালিক লাশটি গুম করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে ধানখেতে ফেলে রাখে। তার হাত-পায়ের কিছু অংশ হয়তো শেয়ালে খেয়েছে।

এদিকে, মিনহাজুলের লাশ পাওয়ার পর থেকেই এলাকা থেকে গাঢাকা দিয়েছেন মাল্টা বাগানের মালিক মোক্তার শেখ। তার ভাই সরোয়ার শেখ বলেন, আমার ভাই বাড়িতে নেই। মাল্টা বাগানের সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। সেখানে কি ঘটেছে আমি তা বলতে পারছি না। তবে ছেলেটির মর্মান্তিক মৃত্যুতে আমি শোকাহত।

 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ছেলেটির মৃত্যু হয়েছে। সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনি কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মোছা. শামিমা পারভীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মুকিত সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. ইফতেখারুজ্জামান ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুর রহমান।

প্রতিনিধি/টিবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর