রাজবাড়ীর কালুখালীতে পল্লী বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার ও বৈদ্যুতিক তার চুরির অভিযোগে গণপিটুনিতে নাজমুল মোল্লা (৩৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত নাজমুলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় চুরি ও ডাকাতির প্রস্তুতির ১১টি মামলা রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) ভোরে কালুখালি উপজেলার মাধবপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নাজমুল ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার পূর্ব গাড়াখোলা আহাম্মদ মোল্লার ছেলে।
কালুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ জাহেদুর রহমান জানান, শনিবার ভোর ৪টার দিকে কালুখালী উপজেলার হরিণবাড়িয়ার চরে পল্লী বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার ও বৈদ্যুতিক মোটরসহ নাজমুল ও তার বেয়াই নজরুলসহ ৩ চোরকে ধাওয়া করে স্থানীয়রা। এসময় দুজন দৌড়ে পালিয়ে গেলেও নাজমুল পালাতে পারেনি। পরে তাকে স্থানীয় মাধবপুর বাজারে এনে গণপিটুনি দেয় স্থানীয়রা।
বিজ্ঞাপন
সকাল পৌনে ৯টার দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে দুপুর ১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
ওসি আরও জানান, নিহত নাজমুলের মেয়ের বিয়ে হয়েছে কালুখালী উপজেলার পশ্চিম হারুয়া গ্রামের নজরুলের ছেলের সঙ্গে। নাজমুল ও নজরুল দুজনেই পেশাদার চোর। দুই বেয়াই মিলে দলবল নিয়ে চুরি করতো। নাজমুলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় চুরি ও ডাকাতির প্রস্তুতির ১১টি মামলা রয়েছে। তাকে নির্যাতন করে হত্যার ঘটনায় তার পরিবারের লোকজন থানায় মামলা দায়ের করবে। এছাড়া পল্লী বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার ও বৈদ্যুতিক মোটর চুরির ঘটনায় আলাদা একটি মামলা দায়ের হবে।
নিহত নাজমুলের স্ত্রী আন্না বেগম বলেন, আমার স্বামী ভাঙ্গারি মালের ব্যবসা করতেন ও ভ্যানগাড়ি চালাতেন। তিনি চোর ছিলেন না। গত বুধবার সন্ধ্যায় তিনি কালুখালীর পশ্চিম হারুয়া গ্রামে বেয়াই বাড়িতে বেড়াতে আসেন। শনিবার সকাল ৮টার দিকে আমি খবর পাই চুরির অপরাধে আমার স্বামীকে মারধর করা হয়েছে। পরে আমি এখানে এসে আমার স্বামীর লাশ দেখতে পাই। কারা কেন আমার স্বামীকে মেরেছে তা আমি জানি না। আমি আমার স্বামী হত্যার বিচার চাই।
প্রতিনিধি/এসএস