বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

চুরির দায়ে মাদরাসা ছাত্রকে গাছে বেঁধে নির্যাতন, কারাগারে ৬ জন

জেলা প্রতিনিধি, কুষ্টিয়া
প্রকাশিত: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৪ পিএম

শেয়ার করুন:

চুরির দায়ে মাদরাসা ছাত্রকে গাছে বেঁধে নির্যাতন, ৬ জনের কারাদণ্ড

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে মুদি দোকানে চুরির অভিযোগে ১১ বছর বয়সী এক মাদরাসা ছাত্রকে নির্যাত‌ন করা হ‌য়ে‌ছে।

ঘটনার শিকার ওই মাদরাসা ছাত্র রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা। এবং কুষ্টিয়া মাদরাসাতুল আবরার মাদরাসার হাফেজিয়া কওমী ছাত্র।


বিজ্ঞাপন


এ ঘটনায় ভুক্ত‌ভোগী ছা‌ত্রের মা বাদী হ‌য়ে ৬ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন।

পুলিশ আসামিদের গ্রেফতার করে মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জেল হাজ‌তে পাঠিয়েছে।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন- কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়নের পুটিয়া গ্রামের মৃত নজির উদ্দিনের ছেলে সামছুল হক (৫০), একই এলাকার মৃত আদু শেখের ছেলে মনোহার শেখ মুনা (৫০), মৃত আহাদ আলীর ছেলে মো. সোলাইমান (৫৫), আতিয়ার রহমানের ছেলে মো. রিফাত (২০), সদর থানার ফুলতলা এলাকার নুর হোসেনের ছেলে মো. জিহাদ (৩৫)। অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় অপরজনের পরিচয় প্রকাশ করেনি পুলিশ।

আরও পড়ুন

বরিশালে বিএনপি নেতা পরিচয়ে বাস আটকে লুট

মামলার এজাহা‌র সূত্রে জানা গে‌ছে, ওই মাদরাসা ছাত্র একটা সময় কুমারখালীর নন্দলালপুর ইউনিয়নের আলাউদ্দিন নগর এলাকার দারুল আহাদ আল ইসলামিয়া নূরানি হাফেজিয়া মাদরাসায় পড়াশোনা করত।

গত রোববার রাত ১১টার দিকে ওই ছাত্র বর্তমান মাদরাসা থেকে পালিয়ে পূর্বের মাদরাসা আলাউদ্দিন নগরে আসে। এরপর গত সোমবার ভোর রাতে টিনের বেড়া কেটে মাদরাসার পাশের সোলাইমানের মুদি দোকানে ঢুকে বিষ্কুট, জুস ও খাদ্যসামগ্রী খায়। সেসময় আসামিরা টের পেয়ে ওই মাদরাসা ছাত্রকে গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধর করে। সিগারেটের আগুন দিয়ে শরীর পুড়িয়ে দেন এবং মাথার চুল কেটে দেন। এমন নির্মম নির্যাতন চলে সকাল ৯টা পর্যন্ত।

এরপর খবর পেয়ে ওই ছাত্রের মা তাকে উদ্ধার করে এবং প‌রের‌দিন সোমবার রাত ১২টার পরে ৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। ওই মাদরাসা ছাত্রের মা বলেন, আমার ছেলে ক্ষুধা নিবারণের জন্য টিনকেটে দোকানে ঢুকে বিস্কুট ও জুস খেয়েছিল। সেজন্য তাকে চুরির অপরাধে গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধর করেছে। সিগারেটের আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। মাথার চুল কেটেছে। আমি সুষ্ঠু বিচারের আশায় থানায় মামলা করেছি। মারধর ও চুলকাটার ঘটনা স্বীকার করেছে অভিযুক্ত দোকানদারের ছেলে জাহিদুল ইসলাম।

তিনি বলেন, দোকানে ঢুকে চুরি করেছিল মাদরাসা ছাত্র। তাকে হাতেনাতে ধরে মারধরা করা হয়েছিল। স্থানীয় ছেলেপেলে চুল কেটেছিল। এখন চুলকাটাই বড় অপরাধ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটা আসলে ভুল হয়েছে।

কুমারখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুকল্যাণ বিশ্বাস বলেন, নির্যাত‌নের ঘটনায় থানায় মামলা করেছেন ছাত্রের মা। মামলায় ৬ জন আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

প্রতিনিধি/এসএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর