প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত যানবাহন চলাচল করায় জয়পুরহাট এখন যানজটের শহরে পরিণত হয়েছে। অফিস শুরুর সময় শহরের তিন কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে কখনও সময় লাগছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এসব কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা। এরপর দীর্ঘ দিন ধরে রাস্তা সংস্কারের কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় দুর্ভোগের মাত্রা বেড়েছে কয়েকগুণ। এ বিষয়ে পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে যে শহরের যানজট নিরসনে কাজ চলছে।
পাঁচ উপজেলা নিয়ে এক রাস্তার শহর জয়পুরহাট। জেলা শহরের প্রধান যানবাহন ব্যটারিচালিত রিকশা ও অটোরিকশা। তবে দিন দিন এগুলোর সংখ্যা জ্যামিতিক হারে বাড়ছে। উপজেলা থেকে জেলা শহরে আসতে সাধারণ মানুষকে শহরের প্রবেশ মুখে যানজটে পড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। বিশেষ করে জয়পুরহাট শহরের প্রধান সড়কের বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু হয়ে হাসপাতাল মোড়, সি ও কলোনি, আমতলী, বাটার মোড় পাচুরমোড় রেলগেট মাছুয়া বাজার পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার তীব্র যানজটের কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে শহরবাসী। এছাড়া শহরের মধ্যে অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল পার্কিং করার কারণে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত রাস্তায় যানজট লেগেই থাকে। এতে সময় এবং ব্যয় উভয়ই বেড়ে যাচ্ছে। এ সমস্যার সমাধান চান শহরবাসী।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: ত্রাণ পরিবহনের বাস না দেওয়ায় নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ
শহরের মুসলিম নগর মহল্লার মিজানুর রহমান বলেন, শহরে যানজটের কারণে চলাচল করা মুশকিল হয়ে পড়েছে। সকাল ১০টায় বাসস্ট্যান্ড থেকে অটোরিকশায় উঠেছি। বাটারমোড়ে আসতে ৪০ মিনিট সময় লেগেছে। জরুরি কাজ করতে গেলে রাস্তায় বসে থাকতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এত অটোরিকশা শহরে চলাচল করছে, অথচ কেউ এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
শহরের রিকশাচালক হাতেম আলী বলেন, পেটের দায়ে আমরা রিকশা চালাই। কিন্তু সড়কে যানজটের যে অবস্থা তাতে রিকশা চালিয়ে আগের মতো আয় হয় না।
আরও পড়ুন: পাহাড়ের প্রথম ম্রো নারী ডাক্তার সংচাং
বিজ্ঞাপন
শাহজাহান আলী নামে এক রোগীর স্বজন বলেন, শহরের জিরো পয়েন্ট থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে হাসপাতালে যেতে সময় লেগেছে ৫০ মিনিট। অথচ আগে সময় লাগতো ১৫ মিনিট। এই যানজটের কারণে রোগীদের নিয়ে সময়মতো হাসপাতালে যেতে না পারায় একটা দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
জেলা ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক জামিরুল ইসলাম বলেন, শহরে যানবাহনের ধারণ ক্ষমতা এক হাজার। অথচ এর চার গুণ বেশি যানবাহন চলাচল করে। ফলে যানজট নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। যানজট নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশ সাধ্যমতো কাজ করছে।
জয়পুরহাট পৌরসভার (ভারপ্রাপ্ত) নির্বাহী কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান বলেন, রাস্তার কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য তাগাদা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পৌরসভা থেকেও ট্রাফিক পুলিশকে সহায়তার জন্য কয়েকজন কমিউনিটি পুলিশ কাজ করছে। অবৈধ যানবাহন যাতে শহরে না চলে, তার জন্য অচিরেই অভিযান চালানো হবে।
প্রতিনিধি/ এমইউ