পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে ২০১২ সালে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আবুল কালাম সিকদারকে হত্যার চেষ্টা, বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় সাংবাদিকসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৬৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আবুল কালাম সিকদার বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
বিজ্ঞাপন
মামলার এজাহারে দৈনিক কালেরকণ্ঠ পত্রিকার ইন্দুরকানী উপজেলা প্রতিনিধি ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জেআই লাভলু, দৈনিক গণ তদন্ত পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি ও উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম মনিরুজ্জামান, বালিপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী, উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি নাছির সেপাই, আওয়ামী লীগ নেতা বাদশা, মোয়াজ্জেম হাওলাদার, তোফাজ্জেল হাওলাদার, মাসুম শেখসহ আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের ৬৫ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয় এবং ৮০ জন অজ্ঞাত রাখা হয়েছে।
মামলার বাদী বিএনপির নেতা আবুল কালাম সিকদার বলেন, ২০১২ সালের ২১ আগস্ট সকালে উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্দেশে যুবলীগ নেতা নাসির সেপাই, মোয়াজ্জেম হাওলাদার ও তোফাজ্জেল হাওলাদারের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সহযোগী সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী তার বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করে। তারা স্বার্ণালকার নগদ টাকাসহ ১২ লাখ টাকার মালপত্র লুট করে নিয়ে যায়। ভাঙচুর, লুটপাট শেষ হলে পুলিশ আসে। তিনি মামলা দিতে চাইলেও পুলিশ নেয়নি। তখন ঘরে তার স্ত্রী লাকী আক্তার ও ১০ বছরের মেয়ে ভয়ে চিৎকার করলেও কেউ এগিয়ে আসেনি। ১২ বছর পর বিচার চেয়ে তিনি থানায় মামলা করেছেন।
ইন্দুরকানী সাংবাদিক জেআই লাভলু বলেন, আমি ওই সময় ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জটিত ছিলাম। তখন কারও ওপর হামলা মামলায় জড়িত ছিলাম না। এখন আমাকে হয়রানি করার জন্য মামলায় দেওয়া হয়েছে। পরে আমি সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে জড়িত হয়ে আর রাজনীতি করিনি দীর্ঘদিন। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার, আমাকে এবং আমার পরিবারকে হয়রানির জন্য এমন হামলা, মামলা, লুট হয়েছে আমার বাড়ি।
বিজ্ঞাপন
ইন্দুরকানী থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, ২০১২ সালে বিএনপির নেতাকে হত্যা চেষ্টা ও তার বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৬৫ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা ও ৮০ জনের নাম অজ্ঞাত রয়েছে।
প্রতিনিধি/এসএস