যশোরের আড়পাড়ায় নৃশংসভাবে কুপিয়ে ও গলা কেটে মিঠু হত্যা মামলার অন্যতম আসামি বাপ্পি হোসেনকে (৩৫) মাগুরা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৬ যশোর।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে মাগুরার শালিখা উপজেলার কুয়াতপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
বিজ্ঞাপন
গ্রেফতার বাপ্পি হোসেন আড়পাড়া গ্রামের খোকনের ছেলে।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন র্যাব-৬ যশোরের ফ্লা. লে. ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি অধিনায়ক মো. রাসেল।
তিনি জানান, নিহত জাহাঙ্গীর আলম মিঠু (৩১) পেশায় একজন টাইলস মিস্ত্রী ছিলেন। দুই বছর আগে তিনি মালয়েশিয়া (প্রবাসী) থেকে নিজ বাড়িতে ফিরে এলাকায় টাইলস মিস্ত্রীর কাজ শুরু করেন। গত ৯ আগস্ট সন্ধ্যায় জাহাঙ্গীরকে যশোর সদরের আড়পাড়া এলাকার মো. সুমন (৩৩) (জাহাঙ্গীরের বন্ধু) নামে এক ব্যক্তি মোবাইলে কল দিয়ে চা খাওয়ার জন্য আড়পাড়া মোড়ে ডাকে। এরপর থেকে জাহাঙ্গীরের পরিবার তার আর খোঁজ পায়নি এবং রাত ৮টার পর থেকে তার মোবাইলও বন্ধ হয়ে যায়। পরিবারের লোকজন রাতে সম্ভাব্য অনেক জায়গায় খোঁজাখুজি করে কোথাও জাহাঙ্গীরের সন্ধান পাননি। পরেরদিন সকালে যশোর সদরের আড়পাড়া গ্রামের ভ্যানচালক মিলনের বাড়ির পাশে ফাঁকা জমিতে জাহাঙ্গীরের গলাকাটা মরদেহ এলাকাবাসী দেখতে পায়।
নিহতের পরিবার জানায়, এলাকায় বিভিন্ন কারণে জাহাঙ্গীরের সঙ্গে মো. সুমন (৩৩) ও মো. বাপ্পিসহ (৩৫) বেশ কয়েকজনের পূর্ব থেকে শত্রুতা ছিল। এরই জেরে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ওইদিন রাতে কৌশলে জাহাঙ্গীরকে ডেকে নিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
নিহত জাহাঙ্গীরের বাবা মোদাচ্ছের আলী (৫৪) বাদী হয়ে যশোর কোতয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পরপরই র্যাব-৬, যশোরের একটি দল আসামিদের গ্রেফতারে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে এবং অভিযান অব্যাহত রাখে। সেই তথ্যানুযায়ী বাপ্পিক হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ঘটনার পরপরই সে নিজেকে আত্মগোপন করে এবং গ্রেফতার এড়াতে ঢাকায় গিয়ে কিছুদিন রাজমিস্ত্রীর কাজ করে। পরবর্তীতে ঢাকা থেকে মাগুরা জেলার শালিখা থানাধীন কুয়াতপুরে তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে নিজেকে আত্মগোপন রেখেছিল।
প্রতিনিধি/এসএস