বিএনপি নেতাকে হত্যার হুমকি, চাঁদাবাজি ও লুটপাটের অভিযোগে যশোর-১ (শার্শা) আসনের সাবেক এমপি শেখ আফিল উদ্দীনসহ ১১ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।
ঘটনার এক বছর পর বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) যশোরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য ও শার্শা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোস্তফা কামাল মিন্টু। অভিযোগ আমলে নিয়ে বিচারক জাকিয়া সুলতানা সাত দিনের মধ্যে শার্শা থানার ওসিকে নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: পান্নার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করল ভারত
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী আমিনুর রহমান।
মামলার আসামি শেখ আফিল উদ্দিন ২০০৮ সাল থেকে আওয়ামী লীগের টানা চারবারের এমপি ছিলেন।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন - শার্শার শ্যামলগাছী গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা কবির উদ্দীন তোতা, একই গ্রামের চার ভাই রফিকুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম মন্টু, তরিকুল ইসলাম ও নজরুল ইসলাম। এছাড়া একই গ্রামের শান্টু ওরফে কালু, ছাত্তার, শার্শা টিএন্ডটি অফিস এলাকার আসাদুজ্জামান আসাদ, শার্শা গ্রামের আদিল এবং উত্তর বুরুজ বাগানের হাফিজুর রহমান মিন্টু।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: সিলেটে শেখ হাসিনা, রেহানা ও কাদেরের বিরুদ্ধে মামলা
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, মামলার বাদী মোস্তফা কামাল মিন্টুর যশোর জেলা আইনজীবী সমিতিতে ‘ল’ চেম্বার রয়েছে। এছাড়া নিজবাড়ি সংলগ্ন এলাকায় তার আরেকটি চেম্বার রয়েছে। সেখানে বসে তিনি এলাকার মানুষকে আইনি সেবা দেন। ২০২২ সালের ২৫ অক্টোবর নিজ এলাকার চেম্বারে বসে ছিলেন। ওই সময় শার্শা-১ আসনের এমপি শেখ আফিল উদ্দীনের নির্দেশে অন্য আসামিরা বাদীকে হত্যার জন্য অফিসে হামলা চালায়। এ সময় তার গলায় গাছি দা ধরে বলে ‘বড় নেতা হয়ে গেছিস? তোকে খুলনার বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে কে জেতে বলেছিল? আগামী সপ্তাহে আমাদের পিকনিক রয়েছে। সেখানে পাঁচ লাখ টাকা দিবি, তা না হলে হত্যা করে লাশ গুম করে দেওয়া হবে। এর প্রতিবাদ জানালে, আসামিরা তার অফিস ভাংচুর করে। এ সময় বিভিন্ন আসবাবপত্র লুট করে তারা। মামলার নথি ছিঁড়ে ফেলে। হত্যার হুমকি দিয়ে চেম্বারের ড্রয়ারে থাকা বাদীর দুই লাখ ৭০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় তিনি শার্শা থানায় মামলা করতে জন্য যান। কিন্তু আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় মামলা নেয়নি পুলিশ। বর্তমানে দেশে স্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় তিনি আদালতে এ মামলা করেন।
প্রতিনিধি/ এমইউ