হিমাগার মালিকদের বৈষম্যমূলক একতরফা অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের প্রতিবাদে রংপুরে বিক্ষোভ করেছে আলু চাষি ও ব্যবসায়ীরা। কৃষকদের মহাসড়ক অবরোধের কারনে দু’দিকে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভে ফেটে পরেন আলু চাষি ও ব্যবসায়ীরা।
বিজ্ঞাপন
নিজেদের দাবি আদায়ে কৃষক বাঁচলে-বাঁচবে দেশ, কৃষকের দেশে আলুর এমন বৈষম্য চাই না- বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন কৃষকরা। মহাসড়ক অবরোধ করে ব্যানার সামনে রেখে দাবী আদায়ে অনড় থাকেন তারা।
বিক্ষোভে চাষিরা দাবি করে বলেন, চলতি বছর সিন্ডিকেট করে রংপুরের হিমাগারগুলোতে আলু রাখার ভাড়া অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি করা হয়েছে। গত বছরের চেয়ে বস্তা প্রতি ভাড়া বাড়ানো হয়েছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত। যা আলু ব্যবসায়ী ও চাষিদের জন্য অমানবিক। যার বড় প্রভাব পড়েছে ভোক্তা পর্যায়ে। এসময় হিমাগার মালিকদের সিন্ডিকেট ভেঙে বাজার পর্যায়ে আলুর দাম স্বাভাবিক রাখতে বস্তা প্রতি ২৮০ টাকা ভাড়া নির্ধারণের দাবি জানান তারা।
এদিকে কৃষকদের অবরোধের কারনে মহাসড়কের দুদিকে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। বন্ধ হয়ে দুইদিকের যান চলাচল। পরে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী ও পুলিশ পৌছে বিক্ষোভকারীদের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে কৃষকদের আন্দোলনের মুখে বাধ্য হয়ে অপু মুনশি হিমাগার কতৃপক্ষ ৩৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকায় নামিয়ে আনতে বাধ্য হয়।
আলু চাষি ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি তৈয়বুর রহমান বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে বৈষম্যমূলক একতরফা অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের প্রতিবাদ জানিয়ে আসছি। চাষিদের আন্দোলনকে কোনভাবেই পাত্তা দেয়নি। বরং নানা ভাবে আন্দোলনকারীদের ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে। আমরা তারপরও আন্দোলন থেকে পিছপা হইনি। সেই ধারাবাহিকতায় আজকে আমরা বাধ্য হয়ে মহাসড়ক অবরোধ করেছি। প্রশাসনের লোকজন আসায় একটি হিমাগার কর্তৃপক্ষ আমাদের দাবী মেনে নিয়েছে। আমরা বাকি হিমাগার গুলোকেও আলুর ভাড়া কমাতে আহ্বান জানাচ্ছি। অচিরেই আমাদের দাবি মানা না হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলারও হুশিয়ারী দেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/ এজে

