ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায় বিএনপি অফিসে হামলা ভাঙচুর লুটপাট অগ্নিসংযোগ ও বোমা বিস্ফোরণের অভিযোগে ৪৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২০০-৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) রাতে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসিম উদ্দিন আকন বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে বিষয়টি রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আতাউর রহমান নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে সম্প্রতি অপসারণকৃত উপজেলা চেয়ারম্যান মিলন মাহমুদ বাচ্চুসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. খায়রুল আলম সরফরাজ, সাধারণ সম্পাদক জিয়া হায়দার খান লিটন ও জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মনিউজ্জামানসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের ৪৪ জন রয়েছে। এতে গালুয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রাজাপুর প্রেসক্লারের নির্বাহী সদস্য টুটুল ও সাবেক এমপি বিএইচ হারুনের অ্যাম্বাসেডর মেরিন ফিসারিজ অফিসার রাজাপুর প্রেসক্লাবের সদস্য মাহমুদ হাসানের নামও রয়েছে। এ মামলায় অজ্ঞাতনামা হিসেবে আরও ২০০-৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০২২ সালের ২৪ মে উপজেলা বিএনপির সম্মেলনে নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয়ে আসতে শুরু করলে আসামিরা লোহার রড, হকস্টিক, জিআইপাইপ, রামদা, চায়নিজ কুড়ালসহ বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র নিয়ে হামলা চালান এবং বোমা বিস্ফোরণ ঘটান। দলীয় কার্যালয়ে পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। পিস্তল দিয়ে খুন করার উদ্দেশে দুই তিন রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে। এতে আসবাব, অন্য মালামালসহ প্রায় তিন লাখ টাকার ক্ষতি হয়। এছাড়া অফিসের স্টিল আলমারির মধ্যে থাকা দুই লাখ ত্রিশ হাজার টাকা এবং অফিসের মূল্যবান চেয়ার, কম্পিউটার, টিভি, ফাইল কেবিনেট ও অন্যান্য আসবাবপত্রসহ ২ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায়।
বিজ্ঞাপন
রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মু. আতাউর রহমান জানান, আসামিদের গ্রেফতারের জন্য কয়েকটি স্থানে অভিযান চালানো হলেও কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
প্রতিনিধি/এসএস