ফেনীতে চলমান বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে দৃশ্যমান হয়ে উঠছে ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন। ফেনীর ফুলগাজী-পরশুরামে বন্যার পানি অনেকাংশের নেমে গেলেও এখনও ফেনী শহর, সদর উপজেলা ও দাগনভূঞা উপজেলায় হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে আটকে আছে। এসব এলাকায় প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবকরা ত্রাণ বিতরণের পাশাপাশি এখনও উদ্ধার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
![]()
বিজ্ঞাপন
বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ায় জেলা শহরে বিদ্যুৎ সংযোগ ও ইন্টারনেট সংযোগ চালু হতে শুরু করেছে। তবে ফেনী শহরের প্রধান সড়ক শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়কে এখনো ২-৩ ফুট পানির নিচে রয়েছে। বিভিন্ন ওয়ার্ডের রাস্তাগুলোতেও পানি রয়েছে ১/২ ফুট করে। গত কয়েকদিন জেলার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে খাবার ও পথ্য সংকট থাকলেও রাস্তায় পানির পরিমাণ নেমে আসায় সেই সংকটের উত্তরণ হয়েছে। তবে গ্রাম পর্যায়ে চাহিদা মতো ত্রাণ এবং সুপেয় পানি নিয়ে ব্যাপক বিড়ম্বনায় দিনাতিপাত করছে সাধারণ মানুষ।
![]()
জানা যায়, গত কয়েকদিন ফেনী শহরের শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়কে ৫-৬ ফুট ওপর পর্যন্ত পানি থাকলেও আজ রোববার রাতে ১/২ ফুটে নেমে এসেছে। রাস্তায় নৌকার পরিবর্তে ছোট পরিবহন চলতে শুরু করেছে। গত কয়েকদিন পানির তীব্র চাপ থাকায় ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর অংশে হাজার হাজার পরিবহন আটকে থাকলেও ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা সাময়িক সংস্কার করে দেয়ায় ধীর গতিতে গাড়ি চলাচল শুরু হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
দৃশ্যমান হচ্ছে বন্যার ক্ষয়ক্ষতি
সুপেয় পানির সংকট
চলছে উদ্ধার তৎপরতা
ফেনী পল্লী বিদ্যুতের সকল গ্রাহকের সরবরাহ বন্ধ থাকলেও পিডিবির ৮০ হাজার গ্রাহকের মাঝে ৫০ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎ সরবরাহের আওতায় এসেছে। বিদ্যুৎ চালু হওয়ায় সুপেয় পানি ও গৃহস্থালির কাজের সংকট কমেছে৷ একইসঙ্গে মোবাইলের পরিষেবা চালু হওয়ায় শহরের মধ্যে লোকজন একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করতে পরেছে। তবে ফেনীর সব উপজেলা এখনও মোবাইলের নেটওয়ার্কের আওতায় না আসায় স্বজনদের খোঁজ খবর না পেয়ে হা-হুতাশ কমছে না। পানিবাহিত ডায়রিয়া ও বমি রোগীর সংখ্যা মহামারি আকার ধারণ করলেও এখনও সেবা কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানগুলো।
![]()
এদিকে ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলায় দুই তৃতীয়াংশ এলাকা থেকে পানি নেমে যাওয়ার পর সড়কের বড় বড় গর্তগুলো দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে। শিগগির এসব সড়ক সংস্কার করে সরবরাহ চেইন ঠিক রাখার ঘোষণা দিয়েছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা এফএম আরিফ হাসান।
এছাড়াও রোববার ফেনীতে বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শনে এসে বিভিন্ন সংগঠন ও সংস্থা থেকে সংগৃহীত সাড়ে ৮ হাজার ব্যাগ শুকনো খাবার সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেন বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।
প্রতিনিধি/এসএস

