মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

মৌলভীবাজারে চারটি নদ-নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে

জেলা প্রতিনিধি, মৌলভীবাজার
প্রকাশিত: ২১ আগস্ট ২০২৪, ০৪:৪৯ পিএম

শেয়ার করুন:

মৌলভীবাজারে চারটি নদ-নদীর পানি বিপদসীমার ওপর

গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে আবারও মৌলভীবাজারের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। জেলার চারটি পয়েন্টে নদ-নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় নদ-নদীর পানি উপচে পড়ে লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। এতে বন্যার আশঙ্কায় চরম দুশ্চিন্তায় পরেছেন মানুষজন।

বুধবার (২১ আগস্ট) ভোর রাত থেকে জেলা সদরসহ সাতটি উপজেলায় মুষলধারায় বৃষ্টিপাত শুরু হয়।


বিজ্ঞাপন


জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, বুধবার (২১ আগস্ট) দুপুর ৩টায় মনুনদের চাঁদনীঘাট পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৮০ সে.মিটার, মনুনদের রেলওয়ে ব্রীজে পানি ১১৮ সে.মিটার, ধলাই নদী রেলওয়ে ব্রীজে পানি ৫ সে.মিটার ও জুড়ী নদীতে ১৭৭ সে.মিটার ও কুশিয়ারা নদীর শেরপুর পয়েন্টে ৩ সে.মিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

flood

এদিকে মৌলভীবাজারে দ্বিতীয় দফা বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠার আগেই আবারও বন্যার কবলে পড়তে যাচ্ছে মৌলভীবাজার। ইতোমধ্যে টানা বৃষ্টিপাতের ফলে জুড়ি, কুলাউড়া ও বড়লেখার হাওরের পানিও বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরদিকে রাজনগর উপজেলার একামধু ও ভাঙ্গারহাটহাট গ্রামে মনুনদের প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। এতে বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ পানি বন্দি ও রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে।

পাউবো ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গেল কয়েকদিন থেকে টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে জেলা সবক’টি নদী ও হাওরের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার উপর অবস্থান করছে। জেলার রাস্তাঘাট ও নিম্নাঞ্চলের বাসা-বাড়িতে পানি উঠতে শুরু করেছে। জেলার বেশ কয়েকটি জায়গায় নদী প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে জনপদে পানি প্রবেশ করায় দুর্ভোগে পড়েছেন হাজারো বাসিন্দা।


বিজ্ঞাপন


flood_2

এছাড়াও জেলা সদরসহ রাজনগর, কমলগঞ্জ, কুলাউড়া, জুড়ী উপজেলার নানা জায়গায় লোকালয়ে ও ফসলি জমিতে পানি প্রবেশ করছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ বলেন, চলমান বৃষ্টিতে রোপা আমন ধান ১৩৪৪ হেক্টর আবাদি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্যান্য ফসলের ক্ষয়ক্ষতিও নিরূপণ চলছে।

মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাবেদ ইকবাল জানান, জেলার কোথায়ও এখনও নদীভাঙন না থাকলেও ধলাই নদীর ৪টি স্থানে বাঁধ চরম ঝুঁকিতে আছে। তারা সতর্ক নজরদারি রাখছেন। সব প্রস্তুতিও রয়েছে।

প্রতিনিধি/এজে

 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর