মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

টিকিট কালোবাজারিতে আমার সম্পৃক্ততা নেই, দাবি স্টেশন মাস্টারের

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২২ মে ২০২২, ১০:৪৯ পিএম

শেয়ার করুন:

টিকিট কালোবাজারিতে আমার সম্পৃক্ততা নেই, দাবি স্টেশন মাস্টারের
ছবি : ঢাকা মেইল

খুলনা রেলস্টেশনের টিকিট কালোবাজারির সাথে তার সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেছেন মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকারের। 

রোববার (২২ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় স্টেশনে নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এ দাবি করেন। 


বিজ্ঞাপন


একই সাথে রেলস্টেশনের জন্য প্রতি মাসে বরাদ্দকৃত কেরোসিন তেলের টাকা বিভিন্ন খাতে ব্যয় করার কথাও স্বীকার করেন তিনি। তবে রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছেন বলেও জানান।

তিনি সাংবাদিকদের জানান, সম্প্রতি ঈদকে কেন্দ্র করে রেলের দুইজন সহকারী স্টেশনমাস্টারসহ কয়েকজন মিলে টিকিট কালোবাজারী করেন। তারা স্থানীয় ক্ষমতাসীনদের প্রভাব খাটিয়ে টিকিট নিত। টিকিট দিতে না পারায় বিভিন্ন ধরনের হুমকিও দেওয়া দিত। এই বিষয়ে তিনি গত ১৬ মে খুলনার রেলষ্টেশনের চারজন স্টাফসহ মোট পাঁচজনের বিরুদ্ধে টিকিট কালোবাজারির অভিযোগ এনে খুলনা রেলওয়ে থানায় সাধারণ ডায়রি করেন। এ ঘটনার পর রেলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ৫জন স্টাফকে বিভিন্ন স্টেশনে বদলি করেন। 

তিনি দাবি করেন, টিকিট কালোবাজারির ঘটনায় আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। রেলস্টেশনের লাইনম্যানের জন্য একটি মোবাইল কেনার ঘটনায় তেলের টাকা থেকে টাকা বরাদ্দের বিষয়টি সঠিক নয়। এছাড়া আমার নামে দুদক তদন্ত করেও কোনো কিছু পাইনি। পাশাপাশি কোনো নারী কেলেংকারি ঘটনার সাথেও সম্পৃক্ততা নেই।

উল্লেখ্য, গত ১৬ মে ষ্টেশন মাষ্টার মানিক চন্দ্র সরকার টিকিট কালোবাজারির অভিযোগ এনে দুজন সহকারী স্টেশনমাস্টারসহ ৫ জন স্টাফের বিরুদ্ধে রেলওয়ে থানায় সাধারণ ডায়রি করেন। যাদের বিরুদ্ধে জিডি করা হয়েছে তারা হলেন—টিএক্সআর বায়তুল ইসলাম, ট্রলিম্যান মো. জাফর মিয়া, তোতা মিয়া, সহকারী স্টেশন মাস্টার (এএসএম) মো. আশিক আহম্মেদ ও সহকারী স্টেশন মাস্টার (এসএম) মো. জাকির হোসেন। এদের মধ্যে তোতা মিয়া রেলওয়ের স্টাফ নয়। 


বিজ্ঞাপন


এই ঘটনার পর গত ২ মে রেলের বিভাগীয় সংস্থাপন কর্মকর্তা (অ. দা. মো. সৌমিক শাওন কবিরের নির্দেশে বায়তুল ইসলামকে চিলাহাটি ক্যারেজ ডিপোতে, জাফর ইকবালকে যশোরের এসএসএই (কার্য), আশিককে রহনপুর স্টেশনে, জাকিরকে মহেড়া স্টেশনে এবং খুলনায় কর্মরত খালাসী মোল্লা পপিদুর রহমানকে পার্বতীপুর লোকোসেডে বদলি করা হয়। পাশাপাশি স্টেশন মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার রেল প্রশাসনকে না জানিয়ে সাধারণ ডায়রী (জিডি) করায় তাকে শোকজ করা হয় এবং এক সপ্তাহের (৭ কার্যদিবস) মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে বলে জানান বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক পাকশী (ডিআরএম) মো. শাহেদুল ইসলাম।

প্রতিনিধি/এইচই

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর