শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

ধর্ষণ মামলা তুলে নিতে কাউন্সিলর সমর্থকদের বিক্ষোভ

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২২ মে ২০২২, ১০:০১ পিএম

শেয়ার করুন:

ধর্ষণ মামলা তুলে নিতে কাউন্সিলর সমর্থকদের বিক্ষোভ
ছবি : ঢাকা মেইল

কলেজ ছাত্রী ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত আসামি বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কেফায়েত হোসেন রনিকে নির্দোষ দাবি করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।
 
রোববার (২২ মে) বিকেল ৫টায় পলাশপুর এলাকায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। 

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, রনির বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে দায়ের করা মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। একটি কুচক্রী মহল সমাজে রনিকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এই ঘটনা ঘটাচ্ছে। রনি আদৌ ওই মেয়েকে চিনে না। আসলে আর কিছুদিন পর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। তাই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রতিপক্ষরা এই মিথ্যা মামলা দিয়ে নাটকটি সাজিয়েছে। রনি দেশের সর্বকনিষ্ঠ ওয়ার্ড কাউন্সিলর। তাই প্রতিপক্ষের লোকজন প্রতিহিংসামূলক এ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। তবে যতই অপকর্ম চালিয়ে যাক, এ বিষয়ে তারা সফল হবে না। 


বিজ্ঞাপন


বক্তারা আরও বলেন, রনির বাসার চারদিকে সিসি টিভি ক্যামেরা স্থাপন করা রয়েছে। প্রশাসন চাইলে সিসি টিভি ফুটেজ যাচাই-বাছাই করে দেখে আসল ঘটনা উদঘাটন করতে পারেন। সিসি টিভি ফুটেজ যাচাই-বাছাই করলেই জানতে পারবেন যে কে ওইদিন রনির বাসায় গেছে আর আর কে আসছে।

অন্যদিকে একই দিন বিকেল ৫টায় ওই কলেজ ছাত্রী তরুণী তার নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে লাইভে এসে মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ সময় তরুণী দাবি করেন, মামলা দায়েরের পর থেকে সে চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। বিভিন্ন দিক থেকে তাকে মামলা তুলে নিতে হুমকি-ধামকি দেয়া হচ্ছে।

তরুণী নিজেকে আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান দাবি করে ফেইসবু লাইভে বলেন, কেফায়েত হোসেন রনি তার ক্ষমতা ও টাকা দিয়ে তাকে হয়রানি করছে। একজন ধর্ষিত নারী হয়ে যদি বিচার না পাই, বাংলাদেশের কোনো নারী বিচার পাবে না। সে আসামি হয়েও বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে আর আমি পালিয়ে বেড়াচ্ছি। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে এর বিচার চাই। আমি আমার মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর কাছে বিচার চাই। পিবিআইয়ের মাধ্যমে সঠিত তদন্ত করা হোক। আমাকে মারধর করা হয়েছে, আমার মোবাইল নিয়েছে। তিনি ডিএনএ টেস্ট করানোর দাবি জানান এবং ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করার দাবি জানিয়ে কান্নাকাটি করেন।

উল্লেখ্য, গত সোমবার (১৬ মে) বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে সিটি কর্পোরেশনের ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কেফায়েত হোসেন রনির (৩৫) বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন এক কলেজ ছাত্রী। রনি নগরীর ৫ নম্বর ওয়ার্ড পলাশপুর বৌ-বাজার এলাকার রফিকুল ইসলাম মনজুর ছেলে।


বিজ্ঞাপন


এদিকে কলেজ ছাত্রীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. ইয়ারব হোসেন মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী ১৬ জুন ২০২২ এর মধ্যে বাংলাদেশ পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বরিশালকে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছে।

প্রতিনিধি/এইচই 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর