শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

সিলেটে বন্যায় মৎস্য সম্পদের ক্ষতি ২ হাজার ১৭৩ কোটি টাকা

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২২ মে ২০২২, ০৯:০৩ পিএম

শেয়ার করুন:

সিলেটে বন্যায় মৎস্য সম্পদের ক্ষতি ২ হাজার ১৭৩ কোটি টাকা
ছবি : ঢাকা মেইল

জেলা মৎস্য অধিদফতর জানিয়েছে, আকস্মিক বন্যায় বাংলাদেশের সিলেট জেলার ১১টি উপজেলায় মোট ১৮ হাজার ৭৪৯টি পুকুর, দিঘী, হ্যাচারি ও মাছের খামার তলিয়ে গেছে। এতে দুই কোটি ১৩ লাখ মাছের পোনা এবং দুই হাজার ৩০৫ টন মাছ বন্যার পানিতে ভেসে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন, সিলেট জেলার ১৫ হাজার ১৬৩ জন খামার মালিকের দুই হাজার ১৭৩ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


জকিগঞ্জ উপজেলার আমলশীদ এলাকার রাজু মিয়া বলেন, আমাদের গ্রামের প্রত্যেকের বাড়িতে কম বেশ মাছ চাষ করা হয়। আবার অনেকেরই অর্ধকোটি টাকার মাছ চাষাবাদ করেছেন। তবে ত্রিমোহনার বাঁধ ভেঙে আমাদের সবকিছু পানিতে তলিয়ে গেছে। একটা মাছও নেই। আমরা নিঃস্ব হয়ে গিয়েছি।

একই এলাকার আরিফ বলেন, আমার পুকুরে ৫-৬ কেজি ওজনের বাউশ (কাতলা) মাছসহ বিভিন্ন ধরনের প্রায় ১০ লক্ষ টাকার মাছ ছিল। কিন্তু বাঁধ ভেঙে সবকিছু তলিয়ে গেছে। পরবর্তী একাধিকবার পুকুরে জাল ফেললেও একটা মাছ জালে উঠে নি।

বন্যায় জকিগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, বিশ্বনাথ, জৈন্তাপুর ও বিয়ানীবাজার উপজেলায় ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি।

জকিগঞ্জে ছয় হাজার ৩৫০টি মাছের খামার তলিয়ে, ৬২২ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। গোয়াইনঘাটে ক্ষতির পরিমাণ দুই হাজার ৫৯২টি খামার তলিয়ে ১৪০ কোটি টাকা। কানাইঘাটে দুই হাজার ৩৫০টি খামার তলিয়ে, ক্ষতি হয়েছে ৬৪ কোটি টাকা; বিশ্বনাথে দুই হাজার ১৫০টি খামার তলিয়ে ১৫৫ কোটি টাকা; জৈন্তাপুরে দুই হাজার ১০০টি খামার তলিয়ে ৬৭৪ কোটি টাকা ও বিয়ানীবাজারে এক হাজার ৪০২টি খামার তলিয়ে ২১৬ কোটি ৮১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


এ ছাড়া, সিলেট সদর উপজেলায় ৫৩৫টি মাছের খামার, গোলাপগঞ্জে ৮৪৫টি, বালাগঞ্জে ৭০টি, কোম্পানীগঞ্জে ১৪৫টি ও দক্ষিণ সুরমায় ২১০টি খামার তলিয়ে গেছে।

সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার ও সিলেট জেলায় সর্বমোট ২ হাজার ২৩৪ কোটি টাকার মৎস সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে সিলেট বিভাগীয় মৎস অধিদফতরের সিনিয়র উপ-পরিচালক মো. আহসান হাসিব খান। 

রোববার (২২ মে) বিকেল ৪টায় তিনি বলেন, সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী আমাদের সিলেট ও মৌলভীবাজারে ২ হাজার ২ শত ৩৫ লাখ টাকার মৎস সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জের তথ্য এখনও পাইনি সেসব এলাকাও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের তালিকা করছি এবং ক্ষয়ক্ষতি পর্যবেক্ষণ করছি। এখন পর্যন্ত মন্ত্রণালয় থেকে আমরা কোনো দিকনির্দেশনা পাইনি। পেলে আমরা খামারিদের পাশে দাঁড়াবো।

প্রতিনিধি/এইচই 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর