শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত যেন ময়লার ভাগাড়

তাহজীবুল আনাম
প্রকাশিত: ২২ মে ২০২২, ০৮:৪৬ পিএম

শেয়ার করুন:

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত যেন ময়লার ভাগাড়
ছবি : ঢাকা মেইল

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে ভেসে আসছে গাছের গুঁড়ি, বোতল, ছেঁড়া জাল ও প্লাস্টিক বর্জ্য। এতে কক্সবাজারের সৈকতের সৌন্দর্যহানির পাশাপাশি পর্যটকদের চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। পর্যটকরা বলছেন, সাগর তীরে এসব ময়লা-আবর্জনা পড়ে থাকলেও পরিস্কারের উদ্যোগ নেই। এতে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, পরিবেশকেও নষ্ট করছে।

রোববার  (২২ মে) দুপুরে  সৈকতের কলাতলী , সুগন্ধা  ও লাবণী পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, চিপসের প্যাকেট থেকে শুরু করে   নানা ধরনের প্লাস্টিক বর্জ্য, গাছের গুঁড়ি বোতল, ছেঁড়া জুতা,  ছেঁড়া জালসহ নানা আবর্জনা। ঢেউয়ের আঘাতে এসব বর্জ্য। এতে সৈকত পর্যটকদের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে।


বিজ্ঞাপন


পর্যটকরা জানান, সৈকতে অনেক ময়লা-আবর্জনা, এতে চলাচলে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

দ্রুত সৈকতে ভেসে আসা ময়লা-আবর্জনা পরিস্কার করা হবে বলে জানালেন কক্সবাজার বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান ও জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ।

ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে আগত পর্যটক দম্পতি আহসান হাবিব ও শাহিনা ইয়াসমিন বলেন, কক্সবাজার আমাদের পছন্দের একটি জায়গা। এখানে আসার প্রথম এবং প্রধান আকর্ষণ হলো সমুদ্র সৈকত দেখা। এর আগেও বহুবার কক্সবাজার এসেছি। সমুদ্রে নেমে মনের আনন্দে ঘুরাঘুরি ও গোসল করেছি। কিন্তু এবার সেই আনন্দ পাচ্ছি না। কারণ  সৈকতের নানাস্থানে প্লাস্টিকের বৈর্জ্যসহ বিভিন্ন আবর্জনা ও দুর্গন্ধে ভরপুর। এসব ময়লা-আবর্জনার কারণে নষ্ট হয়ে গেছে সমুদ্রের পরিবেশ। 

coxsbazar


বিজ্ঞাপন


রাজশাহী থেকে ভ্রমণে আসা পর্যটক নাহিদা সোলতানা বলেন, কক্সবাজারে এই প্রথম আমার ভ্রমণে আসা। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে আসা স্বপ্নের মতো ছিল আমার কাছে। সৈকতের মুক্ত হাওয়া ও লোনা জল বেশ ভালো লাগছে। তবে সৈকতে  ময়লা-আবর্জনা ও কুকুর, গরু চলাফেরা একটু বিরক্তিকর। এসব বিচ্ছিন্ন কিছু ইস্যু ছাড়া কক্সবাজার সম্পর্কে  বই কিংবা নিউজে যা পড়েছি তার চেয়ে বেশি সুন্দর।

কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি আইন অনুষদের শিক্ষার্থী সাইদ আনোয়ার ও সাদেক মাহমুদ শিমরান জানান, ক্লাসের ফাঁকে সুযোগ পেলে একটু প্রশান্তির খোঁজে সৈকতে ঘুরতে আসি। গত কয়েকদিন ধরে সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে ময়লা-আবর্জনার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময় সৈকতের বিভিন্ন স্থানে বেওয়ারিশ কুকুর ও গরু চলাফেরা করতে দেখা যায়। এসব বিষয় পর্যটকদের কাছে যেমন অপছন্দনীয়, তেমনি সৈকতের পরিবেশের জন্যেও হুমকি স্বরূপ। 

বিচ কর্মী মোহাম্মদ সিফাত বলেন, বৃষ্টি ও বাতাসের কারণে এসব বৈর্জ্য হোটেলের বিভিন্ন ডাস্টবিন থেকে উঠে এসে পড়ছে। আবার কিছু কিছু পর্যটক খাবার খেয়ে এসব ময়লা সরাসরি সৈকতের বালিয়াড়িতে ফেলছেন।  

জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ জানান, সমুদ্র সৈকতের আবর্জনা পরিস্কারের জন্য আমাদের যথেষ্ট কর্মী রয়েছে। বিচ কর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া আছে যেন প্রতিদিন সমুদ্রের আশপাশ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখে। এ ব্যাপারে আমি খবর নিয়ে দেখছি। সৈকতের পরিবেশ নোংরা হলে খুবই খারাপ দেখা যায়।  

প্রতিনিধি/এইচই

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর