মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

গুজব প্রতিরোধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে আলোচনা সভা 

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২২ মে ২০২২, ০৮:২০ পিএম

শেয়ার করুন:

গুজব প্রতিরোধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে আলোচনা সভা 
ছবি : ঢাকা মেইল

নোয়াখালীতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা এবং গুজব প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

রোববার (২২ মে) বিকাল ৪টায় নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার ছয়ানি ইউনিয়নের ছয়ানি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে এর আয়োজন করে জেলা তথ্য অফিস।


বিজ্ঞাপন


বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামছুন নাহারের সভাপতিত্বে এবং সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুনের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মো. মামুনুর রশীদ কিরণ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের প্রশাসক বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. এবিএম জাফর উল্লাহ, জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজিবুল হায়দার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপক জ্যোতি খীসা, বেগমগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহনাজ বেগম, ইসলামিক ফাউণ্ডেশনের উপ-পরিচালক মোঃ রেজ্জাকুল হায়দার ও ছয়ানি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. অহিদুজ্জামান।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপক জ্যোতি খীসা তার বক্তব্যে বলেন, গুজবের প্রভাবে ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ১১ মাসে গুজবে প্রাণ হারিয়েছে ৬৪ জন মানুষ। স্কুলে সন্তানকে নিয়ে গিয়ে ছেলে ধরা সন্দেহে এক মহিলাকে প্রাণ হারাতে হয়েছে। পদ্মা সেতু নিয়েও অনেকে গুজব রটিয়েছে। এই গুজবের নেতিবাচক প্রভাব আমাদের জনজীবনে পড়েছে। গুজব প্রতিরোধে আমরা সচেতন মহল আরো বেশি সচেতন হতে হবে।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজিবুল হায়দার বলেন, যেকোনো তথ্য নিজে জেনে বুঝে এবং প্রয়োজনে একাধিকবার নিশ্চিত হয়ে তারপর তা অন্যের কাছে প্রচার করতে হবে। গুজবের শুরুতেই তা প্রতিরোধ করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন কিছু পোস্ট বা শেয়ার করা যাবে  না, যাতে সমাজে বিশৃঙ্খলা তৈরি হতে পারে।


বিজ্ঞাপন


জেলা পরিষদের প্রশাসক বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. এবিএম জাফর উল্লাহ বলেন, আমরা অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়ে সবাই একযোগে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের ভিত্তিতে আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণ করবো।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মো. মামুনুর রশীদ কিরণ বলেন, এ এলাকা (ছয়ানী ইউনিয়ন) আগে সন্ত্রাসের জনপদ ছিল। কেউ তার মেয়ে বিয়ে দিতে হলেও চাঁদা দিতে হতো সন্ত্রাসীদের। এখন এখানের মানুষ শান্তিতে আছে। বিএনপির লোকজনও আমাকে বলে তারাও এখন শান্তিতে আছে। সব ধর্মই শান্তির কথা বলে। আমরা ও সব ধর্মের লোক একসাথে শান্তিতে বসবাস করবো। যারা সম্প্রীতি নষ্ট করে আমরা তাদের বিরুদ্ধে সবাই ঔক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবো।

প্রতিনিধি/এইচই

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর