শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

টাকার লোভ দেখিয়ে পাঁচ বছরের শিশুকে বলাৎকার

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২২ মে ২০২২, ০৬:১৯ পিএম

শেয়ার করুন:

টাকার লোভ দেখিয়ে পাঁচ বছরের শিশুকে বলাৎকার
ছবি : সংগৃহীত

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে ৫০০ টাকার লোভ দেখিয়ে পাঁচ বছরের এক শিশুকে বলাৎকারের অভিযোগে উঠেছে।

রোববার (২২ মে) বেলা ১১টায় নাচোল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিন্টু রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 


বিজ্ঞাপন


এর আগে, শনিবার (২১ মে) বিকেল তিনটার দিকে নাচোল উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের মল্লিকপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। মল্লিকপুর বাজারের মহানন্দা নদীর ধারে পল্লী চিকিৎসক আক্তার উদ্দিনের বাড়ির ছাদে তাকে বলাৎকার করা হয় বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী শিশু।

অভিযুক্ত রাতুল আলী (১৮) নাচোল উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের সালালপুর গ্রামের তরিকুল ইসলামের ছেলে। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন৷

বলাৎকারের শিকার শিশুর বাড়ি গোমস্তাপুর উপজেলার নয়াদিয়াড়ী গ্রামে৷

ভুক্তভোগী শিশুর মা বলেন, প্রত্যেক শনিবার করে আমার ছেলে মল্লিকপুর হাটে ঘুরতে যায়। গতকালও দুপুরের পর হাটে গিয়ে সন্ধ্যার দিকে বাসায় ফিরে আসে। বাসায় আসার পর তার সাথে ঘটা ঘটনাটি আমাকে জানায়। পরে রাতেই তাকে গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি। এরপর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন।


বিজ্ঞাপন


এদিকে, ভুক্তভোগী শিশু জানায়, হাটে যাওয়ার পর ওই লোকটির (রাতুল) সঙ্গে আমার দেখা হয়। পরে তিনি আমাকে মল্লিকপুর বাজারের নদীর ধারের একটি ছাদে নিয়ে যায়। এরপর ৫০০ টাকা দেওয়ার কথা বলে খারাপ কাজ করা শুরু করে। আমি চিৎকার করার কিছুক্ষণ পরে এক লোক আমাকে এসে উদ্ধার করে আমার বাড়িতে পাঠায়। বাড়ি এসে আমার মাকে আমি সবকিছু খুলে বলি।

অন্যদিকে, অভিযুক্ত রাতুল আলীর বাবা তরিকুল ইসলাম বলেন, রাত থেকে আমার ছেলে পলাতক আছে। রাতে আমাকে পুলিশ আটক করেছিল। পরে বিভিন্ন জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দিয়েছে। পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে অনেক জায়গায় তাকে খুঁজতে গেছি। কিন্তু কোথাও পাওয়া যায়নি। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমাধান করার জন্য ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে যাবো।

তবে মল্লিকপুর বাজারের বাসিন্দা ডলার ওরফে আপন রেজা জানান, অভিযুক্ত রাতুল আলী ঘটনার পর থেকেই পলাতক। তার মুঠোফোনও বন্ধ রয়েছে। গত ১ বছর আগে বিয়ে করা রাতুল আলী পেশায় ট্রাক্টর চালক।

ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাদির আহম্মেদ ভুলু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শনিবার রাতে আমি ঘটনাটি শুনেছি। বিষয়টি সত্যি ন্যাক্কারজনক।

সার্বিক বিষয়ে ওসি মিন্টু রহমান বলেন, তারা (ভুক্তভোগী শিশু ও পরিবার) এখন হাসপাতাল রয়েছে। কিছুক্ষণ পর তারা থানায় এসে মামলা দায়ের করার কথা রয়েছে। মামলা দায়েরের পর প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রতিনিধি/এইচই

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর