সিলেটে মন্ত্রী, এমপি এবং আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের বাসা-বাড়িতে হামলা, অগ্নিসংযোগ এবং ভাংচুর হয়েছে। এছাড়া শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার খবরের পরপরই জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, পুলিশ সুপারের বাসভবন, থানা ও পুলিশ ফাঁড়িসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
সোমবার (৫ আগস্ট) দুপুর ৩টার পর থেকে এসব হামলা শুরু হয়।
বিজ্ঞাপন
ভয়-আতঙ্কে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীদের পালিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এখন পর্যন্ত সিলেটে বিক্ষোভকারীদের হামলায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: আ.লীগ নেতা ও তার গাড়িচালককে কুপিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যা
এদিকে বিক্ষোভকারীদের হামলা-ভাংচুর অব্যাহত থাকায় সন্ধ্যার পর থেকে সিলেটের সব মসজিদে মাইকিং করা হচ্ছে। এতে বলা হচ্ছে - হিন্দু-মুসলিম সবাই ভাই ভাই। কেউ যাতে কোনো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাংচুর না করেন। এছাড়া সন্তানদের বাসা-বাড়িতে রাখতে মা-বাবাদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।
এর আগে সোমবার (৫ আগস্ট) দুপুর ৩টার দিকে নগরের বন্দরবাজার এলাকায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আগুন দেওয়া হয়। এরপর পাশেই জেলা প্রশাসক কার্যালয়, জেলা পরিষদ ভবনে ভাংচুর করে অগ্নিসংযোগ করা হয়। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে থাকা বেশ কয়েকটি বাড়িও ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন বিক্ষোভকারীরা। একই সময়ে আরেকটি দল নগরের কিন ব্রিজ এলাকায় পুলিশ সুপারের বাসায় আগুন দেয়।
বিজ্ঞাপন
এছাড়া কোতোয়ালি থানা, গোলাপগঞ্জ, বিয়ানীবাজারসহ বিভিন্ন থানা, লামাবাজার পুলিশ ফাঁড়ি, সোবহানীঘাট পুলিশ ফাঁড়ি ভাংচুর ও আগুন দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। হামলা করা হয়েছে নগরের শাপলাবাগ এলাকায় প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী ও গোপালটিলা এলাকার সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য রনজিত সরকারের বাসায়।
আরও পড়ুন: এমপি বাহাউদ্দীন বাহারের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ
অন্যদিকে নগরীর পূর্ব শাপলাবাগ এলাকায় সিলেট সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ, গোপালটিলা এলাকায় সুনামগঞ্জ-১ (তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা ও মধ্যনগর) আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য (এমপি) রণজিত চন্দ্র সরকার এবং সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমদ ও সহ-সভাপতি আসাদ উদ্দিনের বাসায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর চালানো হয়।
এছাড়া সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফতাব হোসেন খান, মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলমকান মুক্তির বাসায়ও হামলার খবর পাওয়া গেছে।
অন্যদিকে সিলেট সিটি করপোরেশনের ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রেজওয়ান আহমদ এবং ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর লায়েক আহমদ, উপশহরের সাবেক কাউন্সিলর সালেহ আহমদ সেলিমের বাসায় হামলা করা হয়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কার্যনির্বাহী সদস্য ও সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহিউদ্দিন আহমদ সেলিমের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাংচুরের খবরও পাওয়া গেছে।
প্রতিনিধি/ এমইউ