বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫, ঢাকা

ববির ১২ শিক্ষার্থীকে ৫ ঘণ্টা পর ছেড়ে দিলো পুলিশ

জেলা প্রতিনিধি, বরিশাল
প্রকাশিত: ০১ আগস্ট ২০২৪, ০৮:১৯ পিএম

শেয়ার করুন:

ববির ১২ শিক্ষার্থীকে ৫ ঘণ্টা পর ছেড়ে দিলো পুলিশ

কোটা সংস্কার আন্দোলনে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) সমন্বয়ক সুজয় শুভসহ ১২ শিক্ষার্থীকে ৫ ঘণ্টা আটকের পর ছেড়ে দিয়েছেন পুলিশ।
 
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ববির প্রধান গেট থেকে প্রবেশের সময় তাদের আটক করা হয়েছিল।

শিক্ষার্থীদের আটকের পর ক্যাম্পাসের সামনে অবস্থান নেয় ছাত্রলীগ। পুলিশ সদস্যদের অবস্থানের পাশাপাশি মহড়া দিয়েছে বিজিবি। তবে পুলিশ বলছে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ তাদের হেফাজতে নিয়ে পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


আটক শিক্ষার্থীরা হলেন, ববি আন্দোলনের সমন্বয়ক সুজয় শুভ, ভূমিকা সরকার, অনিকা সরকার, সুজন আহমেদ, সিবাত আহমেদ, রাকিব আহমেদ, আরমান জাওয়াদ আবীর, মো. ইয়ামিন, মাহফুজুর রহমান, মো. ইমন, মাহমুদুল হাসান ও মাহমুদুল হাসান।

একাধিক শিক্ষার্থী ও প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ছাত্র-শিক্ষক সংহতির কর্মসূচীতে যোগ দিতে আসছিলো শিক্ষার্থীরা। এসময় যানবাহন থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ প্রথমে ৫ শিক্ষার্থীকে আটক করে। এরপর সমন্বয়ক সুজয় শুভসহ আরও ৭ জন যাত্রীবাহী বাস থেকে ক্যাম্পাসের সামনে নামামাত্র তাদেরও আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এ ঘটনার পর ছাত্রলীগ নেতা রক্তিম হাসানের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন লাঠিসোটা নিয়ে মহড়া দেয়। এরপর ববির গ্রাউন্ড ফ্লোরে ঢুকে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের। এসময় ক্যাম্পাসের সামনের ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক দিয়ে কিছু সময় পর পর মহড়া দিতে দেখা গেছে বিজিবি সদস্যদের। পুলিশের উপস্থিতিও ছিল লক্ষ্যণীয়।

এদিকে শিক্ষার্থীদের আটকের খবরে বরিশাল নগর পুলিশের বন্দর থানায় ছুটে যান বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা। এসময় বাম নেতা ডা. মনীষা চক্রবর্তী, শাহ আজিজুর রহমান খোকন, মিজানুর রহমান সেলিম, দেওয়ান আবদুল রশিদ নিলু, শহিদুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট আবু আল রায়হান, মাহমুদুল হাসান সাকিব ও হাসিবুল ইসলাম, ববি শিক্ষার্থীদের থানায় ঢুকতে দেয়নি পুলিশ। এরপর মুষুলধারে বৃষ্টির মধ্যে বাম নেতারা থানার গেটে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।

থানা থেকে মুক্তির পর কোটা সংস্কার আন্দোলনের ববি সমন্বয়ক সুজয় শুভ বলেন, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা মিলে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনে জড়ো হচ্ছিলাম। কিন্তু পুলিশ এসে আমাদের তুলে থানায় নিয়ে গেল। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।


বিজ্ঞাপন


ছাত্রলীগ নেতা রক্তিম হাসান বলেন, সরকার কোটা সংস্কার করে প্রজ্ঞাপন দিয়েছে। তারপরও কিছু শিক্ষার্থী অসৎ উদ্দেশ্যে ক্যাম্পাসে জড়ো হয়েছিল। ক্যাম্পাসে যে কোনো অপতৎপরতা ঠেকাতে তারা অবস্থান নিয়েছে বলে জানান।

বরিশাল নগর পুলিশের বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রহমান মুকুল বলেন, কারফিউ চলাকালীন সময়ে সভা-মানববন্ধনসহ জনসামগম নিষিদ্ধ। এ কর্মসূচীকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীরা জড়ো হচ্ছিল। তাদের উপর আক্রমণ ও বাধা আসতে পারে। তাই শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছিলাম। পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

প্রতিনিধি/ এজে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর