শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

ট্রলার ডুবে ছাত্রলীগ নেতা নিখোঁজ 

জেলা প্রতিনিধি, কক্সবাজার 
প্রকাশিত: ২৪ জুলাই ২০২৪, ১০:০০ পিএম

শেয়ার করুন:

ট্রলার ডুবে ছাত্রলীগ নেতা নিখোঁজ 

কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে বঙ্গোপসাগরের গোলারচর মোহনায় এফবি সাদ্দাম নামের একটি ফিশিং ট্রলার ডুবির ঘটনায় এক ছাত্রলীগ নেতা নিখোঁজ রয়েছে। এ ঘটনায় ১১ জন উদ্ধার হলেও কোস্টগার্ডের চৌকিতে হামলা ও ভাংচুর চালিয়েছে সংক্ষুদ্ধরা।  এ ঘটনায় কোস্টগার্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছে।

 বুধবার (২৪ জুলাই) রাত ৮টা পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি বলে দ্বীপের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন: রংপুরে নাশকতার ঘটনায় ৮ মামলা, গ্রেফতার শতাধিক

এর আগে বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে বঙ্গোপসাগরের গোলারচর মোহনায় এফবি সাদ্দাম নামের একটি ফিশিং ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে।

সেন্টমার্টিন সার্ভিস বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, ৬৫ দিন মাছ ধরায় সরকারি নিষেধাজ্ঞার কারণে সেন্টমার্টিনের সাদ্দাম হোসেনের মালিকাধীন এফবি সাদ্দাম টেকনাফ ঘাটে ছিল। নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর ট্রলারটি সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে রওনা দেয়। এ সময় ট্রলারটিতে ছয়জন যাত্রী ওঠে। একইসাথে ওই ট্রলারটিতে ছিল ছয় জেলে। ১২ জনের ট্রলারটি দুপুর আড়াইটার দিকে শাহপরীরদ্বীপ অতিক্রম করে বঙ্গোপসাগরের গোলারচর মোহনায় পৌঁছলে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কবলে পড়ে সেটি ডুবে যায়।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম জানান, ঘটনার পর পরই সেন্টমার্টিন ঘাট থেকে কয়েকটি ফিশিং ট্রলার, কয়েকটি সার্ভিস বোট যোগে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। শেষ পর্যন্ত ১১ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও নিখোঁজ রয়েছেন একজন। নিখোঁজ নুর মোহাম্মদ সাগর সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহসভাপতি বলে জানান খোরশেদ আলম।


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে সাপের ছোবলে গৃহবধূ হাসপাতালে

এদিকে ট্রলার ডুবির পর উদ্ধার তৎপরতার জের ধরে কোস্টগার্ডের সঙ্গে সেন্টমার্টিনবাসীর উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। সেন্টমার্টিন থেকে কয়েকজন বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, ট্রলার ডুবির পর কোস্টগার্ডকে অবহিত করা হলে তারা উদ্ধার তৎপরতায় সাগরে নামেননি। দ্বীপবাসী সার্ভিস বোট ও ফিশিং ট্রলারে উদ্ধারে যাওয়ার সময় তাদের বাধাও দেন। কিন্তু ১১ জনকে উদ্ধার করে ঘাটে ফিরলে কোস্টগার্ড সদস্যরা তাদের সঙ্গে ছবি তোলার চেষ্টা করে। এতে দ্বীপবাসীর সঙ্গে তাদের উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে উত্তেজিত লোকজন কোস্টগার্ডের চৌকিতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এ সময় ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে কোস্টগার্ড। এখনও উত্তেজনা বিরাজ করছে বলে জানান তারা।

এ ব্যাপারে কোস্টগার্ডের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, কোস্টগার্ডের সঙ্গে দ্বীপবাসীর একটি উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। তখন ফাঁকা গুলি বর্ষণ করা হয়েছে। দ্বীপের পুলিশ ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন।

প্রতিনিধি/ এমইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর