কোটা সংস্কার আন্দোলনে চট্টগ্রামে সংঘর্ষে নিহত কলেজছাত্র ফয়সাল আহমেদ শান্তর (২০) দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুরে বাদ জোহর বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায় মানিককাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সামনে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর মানিককাঠি গ্রামের তার নানার বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে শান্তকে দাফন করা হয়।
বিজ্ঞাপন
এর আগে দুপুর ১২টার দিকে শান্তর লাশ নিয়ে আসা হয়। ঘটনার পর থেকে বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেলে চট্টগ্রামের ষোলশহর এলাকায় সংঘর্ষে নিহত হন ফয়সাল আহমেদ শান্ত। বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নের মানিককাঠি গ্রামের বাসিন্দা জাকির হোসেন ও কহিনুর বেগম দম্পত্তির ছেলে শান্ত। চট্টগ্রামের ওমরগনি এমইএস কলেজের বিবিএ প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল সে। তার বাবা জাহাজের পুরনো আসবাপত্রের ব্যবসা করেন। দুই ভাইবোনের মধ্যে শান্ত বড়। শান্তর পরিবারের সদস্যরা বরিশালের বাবুগঞ্জে থাকেন।
শান্তর বাবা জাকির হোসেন বলেন, ঘটনার দিন দুপুর ১২টায় শান্তর সঙ্গে তার কথা হয়েছিলো। তখন শান্ত তাকে জানিয়েছিলো প্রাইভেট পড়তে বের হয়েছে। এরপর এমন ঘটনা ঘটবে তা কল্পনাও করেননি।
বিজ্ঞাপন
বাবুগঞ্জের রহমতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান মিলন বলেন, জোহরবাদ মানিককাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে জানাজা হয়। পরে গ্রামের নানার বাড়ি হাওলাদার বাড়ির কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
প্রতিনিধি/এমএইচএম