মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

আবেদ আলীর কাছে চাকরি প্রার্থীদের নিয়ে যেতেন প্রিয়নাথ

জেলা প্রতিনিধি, ঠাকুরগাঁও
প্রকাশিত: ১১ জুলাই ২০২৪, ১০:৩৪ পিএম

শেয়ার করুন:

আবেদ আলীর কাছে চাকরি প্রার্থীদের নিয়ে যেতেন প্রিয়নাথ

প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের হোতা আবেদ আলীসহ ধরা পড়েছে তার কয়েকজন দোসর। তাদের অন্যতম একজন ঠাকুরগাঁওয়ের প্রিয়নাথ রায়। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে আবেদ আলী বলেছেন, প্রিয়নাথ রায় চাকরি প্রার্থীদের তার কাছে পৌঁছে দিতেন। চুক্তি হতো ১৮ থেকে ২০ লাখ টাকায়, অগ্রিম নেওয়া হতো ২-৫ লাখ টাকা। আর সেই টাকা ভাগ-বাটোয়ারা হতো তাদের মধ্যে। 

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামে প্রিয়নাথের বাড়িতে সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, বাড়িতে একা থাকেন তার মা। দু’সন্তান ও স্ত্রী থাকেন দিনাজপুরের বাড়িতে। নিজ এলাকায় তার তেমন সম্পদ না থাকলেও দিনাজপুর ও ঢাকায় খোঁজ পাওয়া গেছে তার বাড়ি-গাড়িসহ অঢেল সম্পত্তির। 


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন: প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত জাহাঙ্গীর আসলে কে 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মোহাম্মদপুর গ্রামের রাইতু রায় ও রাজবালা দম্পতির সন্তান প্রিয়নাথ রায়। চার ভাইয়ের মধ্যে সবার বড় তিনি। অভাবের সংসারে বেড়ে ওঠা প্রিয়নাথ এসএসসি পরীক্ষার সময় হারান বাবাকে। এইচএসসি’র পরে বন বিভাগে চাকরি নেন। ডিগ্রি পাস করে সেনাবাহিনীর অডিটর পদে যোগ দেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন চাকরির প্রশ্নফাঁস চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। চাকরি দেওয়ার নাম করে অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন প্রিয়নাথ। এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে মামলাও রয়েছে। মামলার পর থেকে তাকে গ্রামে আসতে দেখেননি প্রতিবেশীরা।

প্রিয়নাথ রায় চাকরি দেওয়ার শর্তে প্রতিজন প্রার্থীর সঙ্গে চুক্তি করতেন ১৮ থেকে ২০ লাখ টাকার। পরীক্ষার আগেই প্রায় ৪৫০ জনকে প্রশ্নপত্র দিয়ে চাকরি পাইয়ে দিতে সহযোগিতা করেছেন তিনি।

স্থানীয় বাসিন্দা জয়দেব ও আলীসহ অনেক বলেন, তারা সবাই বাইরে থাকে। এখানে প্রিয়নাথের মা ছাড়া কেউ থাকে না। শুধু শুনেছি চাকরি দেওয়ার নামে সে টাকা নিত। পুলিশও এসেছে অনেকবার। কিন্তু সে অনেক দিন ধরে বাড়িতে আসেনি।


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন: মাজারে ঘুমাচ্ছিল ১৯ মামলার আসামি

তবে প্রিয়নাথের মা রাজবালা বলেন, আমার ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে। তার বউয়ের পরামর্শে সে চলে। আমি আমার ছেলের মুক্তি চাই। 

ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম ফিরোজ ওয়াহিদ ঢাকা মেইলকে বলেন, চাকরি দেওয়ার নাম করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে প্রিয়নাথের বিরুদ্ধে। তার নামে একাধিক মামলাও আছে। কিন্তু কয়েক বছর ধরে সে বাড়িতে আসে না।

প্রতিনিধি/ এমইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর