গত কয়েকদিনের বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে দেশের উত্তরাঞ্চলের নদ-নদীতে পানি বেড়েছে। এ অবস্থায় লালমনিরহাট জেলাও বন্যার কবলে পড়েছে।
যদি এর মধ্যে ভারী বর্ষণ হয় এবং দেশের নদী অববাহিকায় অবস্থিত বন্যাকবলিত জেলাগুলোর বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি না হয়। তাহলে লালমনিরহাটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে স্বল্প কিংবা দীর্ঘমেয়াদী বন্যা দেখা দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) দেওয়া তথ্য অনুসারে ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর তিস্তার পানি বিপদসীমার কাছাকাছি রয়েছে।
পাউবো জানায়, শনিবার (৬ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় ধরলা নদীর পানি পাটগ্রাম পয়েন্টে বিপদসীমার ২৭০ সেন্টিমিটার নিচে প্রবাহিত হলেও শিমুলবাড়ি পয়েন্টে বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হয়। শিমূলবাড়ি পয়েন্টে রোববার (৭ জুলাই) সকাল ৬টায় বিপদসীমার ১৬ সেন্টিমিটার, সকাল ৯টায় ১৮ সেন্টিমিটার এবং দুপুর ১২টায় বিপদসীমার ৩৯ সেন্টিমিটারের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
বিজ্ঞাপন
এদিকে তিস্তার পানি শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ১২ সে.মি নিচে, রোববার সকাল ৬টায় ১৩ সে.মি নিচে, সকাল ৯টায় ১৩ সে.মি নিচে এবং দুপুর ১২টায় ২৪ সে.মি নিচে প্রবাহিত হয়।
আর কাউনিয়া পয়েন্টে শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় ২১ সে.মি নিচে, রোববার সকাল ৬টায় ১৩ সে.মি নিচে, সকাল ৯টায় ১১ সে.মি নিচে এবং দুপুর ১২টায় ১১ সে.মি নিচে রেকর্ড হয়।
ধরলার পানি বিপদসীমার ওপরে থাকায় লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট ও মোগলহাট ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার বেশ কয়েকটি স্থানে ফসলি খেত ও লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে।
অপরদিকে তিস্তা অববাহিকার লালমনিরহাট জেলার অন্তত ১৫টি ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী ও চরাঞ্চলে বন্যা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে হাতীবান্ধা উপজেলার ডাউয়াবাড়ি, গড্ডিমারী, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা এবং সদর উপজেলার রাজপুর, খুনিয়াগাছ ইউনিয়নগুলোর কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দী রয়েছে।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার জানান, এই পানি আগামী দু’একদিন স্থীতিশীল থাকতে পারে।
প্রতিনিধি/এসএস