নীলফামারীর সদরে আবুল হোসেন (৫০) নামে এক মক্তব শিক্ষককে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (৬ জুলাই) ভোর সাড়ে ৫টায় মারা যান তিনি।
গত সোমবার (১ জুলাই) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে নীলফামারী সদর উপজেলার পলাশবাড়ীর নীলফামারী-ডোমার মহাসড়কের তরনীবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে দুর্বৃত্তরা তাকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করে।
বিজ্ঞাপন
আবুল হোসেন সদরের অচিনতলা এলাকার মৃত সবীর উদ্দিনের ছেলে। তিনি ওই এলাকার একটি মক্তবের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পাশাপাশি তেঁতুলতলা জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব ছিলেন। তার বাড়ি লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের সহদেব বড়গাছা গ্রামে।
নীলফামারী সদর থানার ওসি তানভীরুল ইসলাম শনিবার সকালে আবুল হোসেনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সকালে তিনি ফজরের নামাজ শেষে সাইকেলযোগে মক্তবের দিকে যাচ্ছিলেন। নীলফামারী-ডোমার মহাসড়কের তরনীবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা তার ওপর হামলা চালায়।
আরও পড়ুন
এ সময় পেছন থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। পরে তার গোঙানির শব্দে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। এরপর তাকে উদ্ধার করে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয়রা৷ সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
শনিবার (৬ জুলাই) সকালে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবুল হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি আরও বলেন, এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের শনাক্তের চেষ্টা করা হচ্ছে। কি কারণে এই হামলা করা হয়েছে তা জানা যায়নি৷
তিনি আরও জানান, মরদেহ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
প্রতিনিধি/এসএস

