ফেনীতে গত কয়েকদিনের বন্যায় কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে। সোমবার (১ জুলাই) রাতে ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলা মুহুরী কহুয়া ও সিলোনীয়া নদী রক্ষা বাঁধের ৮টি স্থানে ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকে পুকুর ডুবে মাছ ও মাছের পোনা ভেসে যায়। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়ে দুই উপজেলার মৎস্যজীবীরা।
![]()
বিজ্ঞাপন
জানা যায়, সোমবার রাতে নদী রক্ষা বাঁধ ভেঙে ফুলগাজী ও পরশুরামে বন্যার সৃষ্টি হয়। বন্যায় ২ উপজেলার ৪৫টি গ্রামের অন্তত ৪ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে যায়। ভেসে যায় ফসলি জমি ও মাছের খামার-পুকুর। বন্যার পানি ঢুকে পড়ে বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। সড়ক ডুবে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় বিভিন্ন এলাকায় যোগাযোগ। এতে বন্যাদুর্গত এলাকার সাধারণ মানুষ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মাঝে পড়ে।
বর্তমানে ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরামে ভারত থেকে নেমে আসা মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর পানি ১০০ সেন্টিমিটার বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃষ্টি না হলে বন্যা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতি হবে বলে মনে করছে পানি উন্নয়ন বোর্ডে।
![]()
বিজ্ঞাপন
ফেনী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, গত কয়েকদিনে ফুলগাজী ও পরশুরামের বন্যায় মাছ চাষিদের অন্তত ১ কোটি ১৮ লাখ ৪৫ হাজার টাকা ক্ষতি নিরূপন করা হয়েছে। বন্যার পানিতে ভেসে গেছে দুই উপজেলার কমপক্ষে ৩২৫টি পুকুর। এসব পুকুর থেকে ৫৭ লাখ টাকার মাছ এবং ৩৭ লাখ টাকার মাছের পোনা ভেসে গেছে। এছাড়াও দুই উপজেলায় প্রায় ২২ লাখ টাকার খামারিদের আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে গেছে।
![]()
তিনি জানান, ফুলগাজী উপজেলায় ২৪৫টি পুকুর ভেসে সাড়ে ৪০ লাখ টাকার মাছ ও সাড়ে ৭ লাখ টাকার মাছের পোনা ভেসে গেছে। উপজেলায় মাছ চাষিদের ২০ লাখ টাকার আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে গেছে। সব মিলিয়ে ফুলগাজীতে প্রায় ৬৮ লাখ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি নিরূপন করা হয়েছে। একইভাবে পরশুরাম উপজেলায় ৮০টি পুকুর ভেসে ১৭ লাখ ২৫ হাজার টাকার মাছ ও ৩০ লাখ ৭০ হাজার টাকা মূল্যের মাছের পোনা ভেসে গেছে। উপজেলায় মাছ চাষিদের অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকার। সব মিলিয়ে পরশুরামে মাছ চাষিদের প্রায় সাড়ে ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
প্রতিনিধি/এসএস

