শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

‘উৎসে কর কার্যকর হলে চালের দাম বাড়বে’

জেলা প্রতিনিধি, নওগাঁ
প্রকাশিত: ০৩ জুলাই ২০২৪, ১০:৪২ পিএম

শেয়ার করুন:

‘উৎসে কর কার্যকর হলে চালের দাম বাড়বে’

নওগাঁয় চালের মিল মালিকরা বলেছেন, চাল প্রক্রিয়াজাতকরণের পর বিপণনের ক্ষেত্রে ‘উৎসে কর’ কার্যকর হলে ভোক্তা পর্যায়ে চালের দাম বাড়বে। মিল মালিকদের সঙ্গে আলোচনা না করে অযৌক্তিকভাবে ধান-চাল মজুতের সীমা পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে। 

বুধবার (৩ জুলাই) দুপুরে নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ অটো রাইস মিল ওনার্স সমন্বয় পরিষদ আয়োজিত এক মত বিনিময় সভায় চালকল মালিকেরা এসব কথা বলেন। সভা শেষে বিকেল ৩টার দিকে সভায় যে সব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় সে সম্পর্কে গণমাধ্যমের সামনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন বাংলাদেশ অটো রাইস মিল ওনার্স সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক এম এ খালেক।


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন: উন্মুক্ত জলাশয়ে হাঁস পালনে ভাগ্যবদল রবিউলের

লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, সম্প্রতি জারি হওয়া পরিপত্র অনুযায়ী চালের বস্তায় ধানের জাতের নাম, উৎপাদনের তারিখ ও মিলগেটের মূল্য লেখার ক্ষেত্রে মিলারদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু মিলারদের দাবি হচ্ছে, ধানের জাতের নাম মিলারদের কাছে সরকারকেই পৌঁছাতে হবে। গত ১৪ এপ্রিল থেকে চালের বস্তায় জাতের নাম লেখা বাধ্যতামূলক করা হলেও এখন পর্যন্ত ধানের জাতের নাম মিলারদের কাছে পৌঁছানো হয়নি।

সাধারণত, কৃষকেরা সরকারি উৎসের বাইরে থেকেও ধান বীজ সংগ্রহ করে থাকে এবং সে অনুযায়ী ধানের নামকরণ করে থাকে। কৃষকদের দেওয়া এই নাম অনুাযায়ী চাল বিপণনের ক্ষেত্রে মিলাররা তার নামকরণ করে থাকে।

লিখিত বক্তব্যে এম এ খালেক বলেন, চটের বস্তা ব্যবহারের ক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনা চালের সব ধরনের প্যাকেটজাতকরণের ক্ষেত্রে নিশ্চিত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো ব্যতিক্রমের সুযোগ নেই। অথচ বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, কর্পোরেট ব্যবসায়ীরা চাল বাজারকরণের ক্ষেত্রে প্লাস্টিক বা পলিথিন প্যাকেট ব্যবহার করছে। আবার বিদেশ থেকে যে সব চাল আমদানি করা হচ্ছে, সেগুলো প্লাস্টিকের বস্তায় প্যাকেটজাত করা হচ্ছে। চটের বস্তা ব্যবহারের নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য এসব কর্পোরেট ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকদের কোনো শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে না। অথচ প্লাস্টিকের বস্তা ব্যবহার করার অপরাধে শুধু মিল মালিকদের জেল-জরিমানা করা হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ বৈষম্যমূলক। চটের বস্তার ব্যবহার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে এই বৈষম্য দূর করতে হবে।


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন: সাদুল্লাপুরে প্রশিক্ষণ পেলেন ৫০ কৃষক

তিনি আরও বলেন, অতি সম্প্রতি চাল প্রক্রিয়াজাতকরণের পর বিপণনের ক্ষেত্রে ‘উৎসে কর’ প্রদানের বিষয়টি সংযুক্ত করেছে। এক্ষেত্রে মিলারদের বক্তব্য হলো, মিলাররা দেশের বিদ্যমান আইন মেনে সরকারকে আয়কর ও মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) প্রদান করে যাচ্ছে। তার ওপর চাল বিপণের ক্ষেত্রে ‘উৎসে কর’ প্রদান করা হলে ভোক্তা পর্যায়ে চালের দাম বেড়ে যাবে। এক্ষেত্রে ‘উৎসে কর’ কার্যকর যুক্তিসংগত কিনা তা সরকারকে ভেবে দেখা প্রয়োজন।

সভায় অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ অটো রাইস মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ অটো রাইস মিল ওনার্স সমন্বয় পরিষদের যুগ্ন আহ্বায়ক তৌফিকুল ইসলাম, বেলকন গ্রুপের চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট চাল ব্যবসায়ী বেলাল হোসেন, নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক, পত্নীতলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল গাফফার চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিনিধি/ এমইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর