মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

আটটা পরীক্ষা দিয়ে শেষ দিনে ধরা পড়ল ভুয়া পরীক্ষার্থী

জেলা প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা
প্রকাশিত: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৭:২৩ পিএম

শেয়ার করুন:

আটটা পরীক্ষা দিয়ে শেষ দিনে ধরা পড়ল ভুয়া পরীক্ষার্থী

চুয়াডাঙ্গায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষায় প্রক্সি দেওয়ার অপরাধে শামীম আহম্মেদ তুষার (২০) নামে এক ভুয়া পরীক্ষার্থীকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

সোমবার (১ জুলাই) শেষ পরীক্ষার দিনে চুয়াডাঙ্গা সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজ কেন্দ্রে গোপন সংবাদে ওই পরীক্ষার্থীকে শনাক্ত করে আটক করা হয়।


বিজ্ঞাপন


টানা আটদিন ধরে ভুয়া পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেওয়ার পর আজ শেষ পরীক্ষার দিনে জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে শনাক্ত হয় এ ভুয়া পরীক্ষার্থী। এ নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব ও নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

আরও পড়ুন

লালমনিরহাটে পরীক্ষা দিতে পারেনি ১৬ শিক্ষার্থী

দণ্ডপ্রাপ্ত শামীম আহম্মেদ তুষার জীবননগর উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের খোকনের ছেলে। তিনি যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অর্নাস তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

কলেজ সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনের অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা গ্রহণের কেন্দ্র চুয়াডাঙ্গা সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শহীদুজ্জামানের। তার রোল নম্বর ২০২৮১৭৭ ও নিবন্ধন নম্বর ১৮২১৫০৩৯৪২৬। কিন্তু তার পরিবর্তে অনুষ্ঠিত হওয়া আটটি পরীক্ষা দিয়েছেন ভুয়া পরীক্ষার্থী শামীম আহম্মেদ তুষার।


বিজ্ঞাপন


arrest

আজ সোমবারে অনুষ্ঠিতব্য শেষ পরীক্ষাটিতে অংশ নিয়েছিলেন এই ভুয়া পরীক্ষার্থী। গোপন সংবাদে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন বিষয়টি জানতে পেরে, পরীক্ষা চলাকালীন হলে উপস্থিত হন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও বিজ্ঞ অ্যাক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নাঈমা জাহান সুমাইয়া। সেখানে তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অভিযুক্তকে দণ্ড প্রদান করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক নাঈমা জাহান সুমাইয়া জানান, খবর পেয়ে পরীক্ষা চলাকালীন হলে উপস্থিত হয়ে ভুয়া পরীক্ষার্থীকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তিনি ভুয়া পরীক্ষার্থী বলে স্বীকার করেন। এবং বিগত আটটি পরীক্ষাও তিনি দিয়েছেন বলে স্বীকার করেন। তার এ অপরাধের কারণে পাবলিক পরীক্ষাসমূহ (অপরাধ) আইন, ১৯৮০-এর ৩ ধারা অনুযায়ী এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। যিনি আসল পরীক্ষার্থী তাকেও শনাক্ত করা হয়েছে। তার ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ কলেজ কৃতর্পক্ষ নিবেন।

প্রতিনিধি/এসএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর