টানা বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে ক্রমেই অবনতি হচ্ছে সুনামগঞ্জ বন্যা পরিস্থিতি। পানিতে সুনামগঞ্জের ৫ উপজেলার অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়েছে। সেই সঙ্গে ডুবে গেছে সড়ক ও ২১৬ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
বৃহস্পতিবার (১৯ মে) দুপুরে সুনামগঞ্জের নদ- নদীর পানি বিপৎসীমায় ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড।
বিজ্ঞাপন
জানা যায়, জেলার সবকটি ছোট বড় নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। পাড় উপচে মানুষের বাড়িঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠিান, ধর্মীয় উপাসনালয় ঢুকে পড়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সুনামগঞ্জ সদর, ছাতক, দোয়ারাবাজার, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, পাঁচ উপজেলার বন্যা কবলিত মানুষের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ১৫ মে. টন চাল, প্রতিটি উপজেলায় ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলায় সাত হাজার পরিবার বন্যার দুর্ভোগে পড়েছে। দুই উপজেলায় ১৩টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে এবং ৫টি উপজেলায় ২৮ টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এদিকে, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জে ২১৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্লাবিত হয়েছে এতে বন্ধ ঘোষণা করা হয়ে বিদ্যালয়ের পাঠদান। এছাড়া ২৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করায় পুরোপুরি বন্ধ রাখা হয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলো।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম আব্দুর রহমান বলেন, পাহাড়ি ঢলে ২১৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্লাবিত হয়েছে এবং ২৮টি সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়া আশপাশে গ্রামগুলোতে পানি উঠায় শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসাটা ঝুকিপূর্ণ তাই এসব প্রতিষ্টানের পাঠদান বন্ধ রেখেছি। পানি কমলে সেগুলোর পাঠদান শুরু হবে।
বিজ্ঞাপন
টিবি