তৃতীয় লিঙ্গের পলি হত্যার রহস্য উদঘাটন, ঘাতক প্রেমিক গ্রেফতার

ঘাতক আসামি রমজান হোসেন ওরফে বাবু মনিরামপুর উপজেলার কামালপুর গ্রামের আলী আহমেদের ছেলে।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, গত ২৮ জুন সন্ধ্যা ৭টার সময় মনিরামপুরের মাছনা মোড়লপাড়া গ্রামে তৃতীয় লিঙ্গের মঙ্গলী খাতুন পলির বসতঘরে বারান্দায় গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে মনিরামপুর থানা পুলিশ। এই হত্যাকাণ্ডে নিহতের ভাই মিজানুর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।

যশোর ডিবি পুলিশের একটি চৌকস টিম তদন্তে নেমে ২৪ ঘণ্টা মধ্যে ঘটনায় জড়িত অপরাধীকে শনাক্ত করে।

এরপর শনিবার বিকেল সাড়ে ৬টার দিকে যশোর শহরতলীর মুড়লী মোড় থেকে আসামি রমজান হোসেন ওরফে বাবুকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এরপর তার দখল থেকে পলির ঘর থেকে চুরি করা স্বর্ণালংকার, আসামির ব্যবহৃত মোবাইল উদ্ধারসহ আসামি রমজানের স্বীকারোক্তি মোতাবেক তার বসতবাড়ি থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারাল চাপাতি, রক্তমাখা কাপড় উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে আসামি রমজান হোসেন ওরফে বাবু একজন কুখ্যাত চোর ও মাদকসেবী। তার বিরুদ্ধে একাধিক চুরি ও মাদক মামলা রয়েছে। নিহত তৃতীয় লিঙ্গের মঙ্গলী খাতুনের সাথে আসামি রমজানের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল। সম্পর্কছেদের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়েই পলিকে হত্যা করে রমজান। ঘটনার দিন নিহতের বাসায় চুরির পরিকল্পনা করে বাড়িতে যায় ঘাতক রমজান। গভীর রাতে পলির বাড়িতে চুরি করার সময় টের পেয়ে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তির একপযায়ে ঘরে থাকা ধারাল চাপাতি দিয়ে গলা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে পলিকে হত্যা করে। এরপর তার ঘরে থাকা স্বর্ণের দুল, নগদ ২ হাজার ২৫০ টাকা চুরি করে পালিয়ে যায় রমজান।

প্রতিনিধি/এসএস