সরকারি হাসপাতাল থেকে দালালের মাধ্যমে রোগী বাগিয়ে এনে রোগিদের ভুল বুঝিয়ে চিকিৎসা দিতেন ডা. ফজলে রাব্বি। যেসব পরীক্ষার প্রয়োজন নেই সেগুলো পরীক্ষা করতে দিয়ে হাতিয়ে নেওয়া হত হাজার হাজার টাকা। আর এই কাজটি সম্পাদন করতেন আল মানার ডায়াগনস্টিক সেন্টার।
সোমবার (২৪ জুন) বিকেলে এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রংপুর। অভিযানে চিকিৎসকের দুই লাখ টাকা এবং আল মানার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক হাসান মাহমুদকে (৩২) দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
বিজ্ঞাপন
হাসান মাহমুদ নগরীর কেরানীপাড়া চৌরাস্তা মোড় এলাকার হাসনাতুল ইসলামের ছেলে।
অভিযান পরিচালনা করেন ভোক্তা অধিদপ্তর রংপুর বিভাগের উপপরিচালক আজহারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, চিকিৎসার নামে সেবা গ্রহীতার জীবন বিপন্ন করার মতো অপরাধমূলক কাজ করেছেন তারা। অভিযুক্তরা দালাল দিয়ে রোগী বাগিয়ে আনতেন এবং রোগীদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত পরীক্ষা নিয়ে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। আজকের অভিযানে ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে দুই লাখ এবং চিকিৎসকের দুই লাখ টাকাসহ মোট ৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এদিকে, অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করে ডা. ফজলে রাব্বি বলেন, মানসিক রোগীকে চিকিৎসা দেওয়ার কারণে তার জরিমানা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এক প্রশ্নে তিনি আরও বলেন, দালালের মাধ্যমে হাসপাতাল থেকে রোগী বাগিয়ে আনার কাজ করতেন আল মানার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লোকজন। এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।
আল মানার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক হাসান মাহমুদ অভিযোগের বিষয়ে বলেন, মেডিসিনের ডাক্তার অন্য রোগী দেখেছেন, এছাড়া দালাল দিয়ে বাগিয়ে নিয়ে আসা রংপুর মেডিকেলের কিছু রোগী আছে, পাশাপাশি কিছু হরমোনাল টেস্ট যেটা অন্য ল্যাব থেকে করানো হয়। সে কারণে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছে।
অন্যদিকে, রংপুর মেডিকেল থেকে ফুসলিয়ে রোগী বাগিয়ে আনার অপরাধে দালাল আব্দুর রাজ্জাককে (৪৫) মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। তিনি কোরানীর হাট এলাকার মৃত আজিজার রহমানের ছেলে।
প্রতিনিধি/টিবি

