সুনামগঞ্জের নদ-নদীর পানি দ্রুত নামতে শুরু করেছে। টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢল বন্ধ হওয়ায় জেলার নদ-নদীর পানি কমছে বলে জানিয়েছে পাউবো।
সুনামগঞ্জ পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিকেল ৩টায় বিপদসীমার ১২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে ছাতক পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি কমতে শুরু করলেও এখনো বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
আশ্রয় কেন্দ্র ছেড়ে বাসাবাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে বানভাসী লোকজন। তবে সুনামগঞ্জের ডেকার হাওরের তীরে গড়ে ওঠা জনপদের বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাটে এখনো পানি রয়ে গেছে। হাওর বন্যার পানিতে টইটুম্বুর থাকায় এসব এলাকার পানি ধীরে নামছে। তবে নদীর তীরবর্তী এলাকার পানি দ্রুত নেমে যাচ্ছে।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৮১টি ইউনিয়নের প্রায় ৮ লাখ ৫৫ হাজার মানুষ বন্যা কবলিত হয়েছিল। তাদের জন্য ৭০২টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছিল। এর মধ্যে ৮৩টি ইউনিয়ন ও চারটি পৌরসভার ৫৭৬টি আশ্রয় কেন্দ্রে ২৩ হাজার ৮৪৯ জন বানভাসী আশ্রয় নিয়েছিলেন। শুক্রবার থেকেই পানি কমতে থাকায় মানুষ বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে।
শনিবার (২২ জুন) পর্যন্ত ২০ হাজার ১২৬ জন মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে রয়ে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, শনিবার বিকেল ৩টায় সুনামগঞ্জ পয়েন্টে সুরমার পানি বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার নিচ প্রবাহিত হচ্ছে। একই সময়ে ছাতক পয়েন্টেও একই নদীর পানি কমেছে। তবে এখনো ছাতকে বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। মানুষজন আশ্রয় কেন্দ্র ছেড়ে বাড়িতে ফিরছেন।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/একেবি

