ঈদের পরের দিন দুপুর ১টায় ঘুরতে বের হন রাবি (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়) শিক্ষার্থী মোহাম্মদ মুছা। যাওয়ার পথে অটোরিকশা স্ট্যান্ডে গাড়ির মধ্যে একটি ব্যাগ পান। পরে খুলে দেখলেন তাতে কয়েক লাখ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও একটি মোবাইল আছে। এরপরই তিনি হন্যে হয়ে খুঁজতে থাকেন ব্যাগের মূল মালিককে। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে মালিককে খুঁজে বের করে সম্পূর্ণ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার ফিরিয়ে দিয়েছেন এই শিক্ষার্থী।
গত মঙ্গলবার (১৬ জুন) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: স্থগিত হওয়া রাবির দ্বাদশ সমাবর্তন ২৮ নভেম্বর
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মো. মুছা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের স্নাতক চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ইছাপুর গ্রামের বাসিন্দা। মঙ্গলবার দুপুরে বাড়ি থেকে ঘুরতে বের হয়ে উপজেলার মরিচাকান্দিতে একটি টাকাভর্তি ব্যাগ পান। পরে নিজের কাছে লুকিয়ে না রেখে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মালিককে খুঁজে ফিরিয়ে দিয়েছেন তার দুই লাখ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার।
মুছার এমন কাজে তাকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন স্থানীয়রা। অফলাইন ও অনলাইনে বিষয়টি নিয়ে চলছে আলোচনা। তারা বলছেন, এই যুগে এত টাকা পেয়ে ফিরিয়ে দেওয়াটা সততার অনন্য দৃষ্টান্ত।
আরও পড়ুন: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের বারান্দায় ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ
বিজ্ঞাপন
এ ব্যাপারে মো. মুছা বলেন, ব্যাগটিতে দুই লাখ ২৩ হাজার টাকার সঙ্গে বেশ কিছু স্বর্ণালঙ্কার এবং একটি দামি মোবাইলও ছিল। পরে বাড়িতে এসে পরিবার ও বন্ধুদের জানাই, ফেসবুকেও একাধিকবার পোস্ট দেই। খোঁজ চালাতে থাকি আসল মালিকের। একপর্যায়ে ব্যাগে থাকা হাবিবা আক্তার নামে একটি জন্মসনদ দেখতে পাই। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে খোঁজ পেয়ে ওনার বাবা যোগাযোগ করলে সম্পূর্ণ টাকা ফিরিয়ে দেই। সবশেষে সফল হয়েছি, দায়মুক্ত লাগছে নিজেকে।
হারানো সম্পদ ফিরে পেয়ে খুশিতে আত্মহারা হাবিবা আক্তারের বাবা হান্নান মিয়া। তিনি জানান, টাকা হারিয়ে তার পরিবার বিপর্যস্ত ছিল। এখন সবার মনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। আমি মুছার প্রতি চির কৃতজ্ঞ থাকবো।
প্রতিনিধি/ এমইউ