বগুড়ায় ঈদের রাতে শরিফ ও রুমন নামের দুই যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আওয়ামী লীগ, বিএনপি, ছাত্রলীগ ও মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাসহ ১৩ জনের নামে মামলা করা হয়েছে। এতে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) রাতে বগুড়া সদর থানায় মামলা হয়।
বিজ্ঞাপন
বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শাহিনুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন- বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ কবির আহম্মেদ মিঠু (৬০), ছাত্রলীগ কর্মী আজবিন রিফাত (১৯) একই এলাকার নাঈম হোসেন (২৮) ও শেখ সৌরভ (২৬)।
নিহত দু’জনের মধ্যে শরিফের মা বগুড়া শহরের নিশিন্দারা চকরপাড়ার হেনা বেগম বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৫ জনের নামে মামলা দায়ের করেন।
বিজ্ঞাপন
মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ কবির আহম্মেদ মিঠুকে।
এছাড়াও মিঠুর ভাই বগুড়া শহর আওয়ামী লীগের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক ও বগুড়া জেলা পরিষদ সদস্য সৈয়দ সার্জিল আহম্মেদ টিপু তার আরও তিন ভাই, বগুড়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও জেলা বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক শাহ মেহেদী হাসান হিমুকেও আসামি করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ঈদের দিন বিকেল ৪টার দিকে বগুড়া শহরের নামাজগড়-হাকির মোড় নির্মানাধীন রাস্তায় সৈয়দ সার্জিল আহম্মেদ টিপুর প্রাইভেট কারের সঙ্গে রুমনের মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। এ সময় প্রাইভেট কারে টিপুর অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী মেয়ে ছিল।
মোটরসাইকেলে ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে সেখানে কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরে রাত দেড়টার দিকে আসামিরা রুমনও শরিফকে বাসা থেকে নিশিন্দারা চকরপাড়ায় জাহিদ মিয়ার বাড়ির সামনে নিয়ে আসে। রুমন ও শরিফের সঙ্গে তার কয়েকজন বন্ধু ছিল। তারা সেখানে আসা মাত্রই প্রধান আসামি সৈয়দ কবির আহম্মেদ মিঠু ও তার ভাই সৈয়দ সার্জিল আহম্মেদ টিপু তাদের লক্ষ্য করে গুলি করে। এ সময় তারা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে রুমন ও শরিফকে ধরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পায়ে গুলি বিদ্ধ অবস্থায় হোসাইন ওরফে বুলেট পালিয়ে আত্মরক্ষা করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শাহিনুজ্জামান বলেন, গ্রেফতার চারজনকে আদালতে হাজির করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
প্রতিনিধি/এসএস

