বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৪, ঢাকা

শেষ মুহূর্তে জমজমাট কোরবানির পশুর হাট

জেলা প্রতিনিধি, ঠাকুরগাঁও
প্রকাশিত: ১৫ জুন ২০২৪, ০৪:২৬ পিএম

শেয়ার করুন:

শেষ মুহূর্তে জমজমাট কোরবানির পশুর হাট

ঈদের মাত্র দু’দিন বাকি তাই ঠাকুরগাঁওয়ে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাটগুলো। জেলায় চাহিদার থেকেও বেশি পশুকে কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা রয়েছে। তাই হাটগুলোতে ছোট-বড় বিভিন্ন সাইজের পশুর আমদানিও অনেক। তবে ক্রেতারা বলছেন যে এবার দাম অনেক চড়া। অপরদিকে বেপারিরাসহ সাধারণ বিক্রেতা ও খামারিরা বলছেন, গতবারের তুলনায় এবার গরু দাম কম। এদিকে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলছেন, পশুর খাদ্য থেকে শুরু করে সবকিছুর দাম বাড়তি, ফলে এবার পশুর দামও একটু বেশি। 

আসন্ন কোরবানির জন্য এবার এ জেলায় এক লাখ ৩২ হাজার গরু ও ছাগল প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে চাহিদা মাত্র ৯০ হাজারের। চাহিদার তুলনায় পশুর যোগান ৪০ হাজার বেশি। আর এসব পশু জেলার স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে মোট ২৪টি হাটে ক্রয়-বিক্রয় করা হচ্ছে। বেপারিরা আবার এই হাটগুলো থেকে ক্রয় করে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠাচ্ছেন কোরবানির পশু। 


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে স্কুল শিক্ষার্থীদের নিয়ে সেনসিটাইজেশন প্রোগ্রাম

পশুর বৃহত্তম হাট লাহিড়ীছাড়াও শহরের সেনুয়া পশুর হাট ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। হাটগুলোতে ৭০ হাজার থেকে শুরু করে আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত গরুর দাম চাওয়া হচ্ছে। ২ -৭ মণ পর্যন্ত ওজনের গরু উঠেছে হাটে।

মো. ইসমাইল হোসেন, বশির আলী, মো. গিয়াসউদ্দিনসহ আরও অনেক ক্রেতা বলেন, বাজারে এসে দেখি ক্রেতা-বিক্রেতাদের অনেক ভিড়। গরু-ছাগলও আনা হয়েছে অনেক। কিন্তু বিক্রেতারা যা দাম চায় তা ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। গত বছরের তুলনায় এবার গরু প্রতি প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা দাম বেশি। লাখের নিচে তেমন ভালো গরু পাওয়া যায় না। তাই বাজেটের থেকেও বেশি টাকা দিয়ে পশু ক্রয় করতে কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। 

অন্যদিকে বেপারিদের মধ্য মো. আবু তাহের বলেন, বেচা-কেনা ভালো হলেও দাম ভালো পাওয়া যায় না। এবার গরু প্রতি ৫-৭ হাজার টাকা দাম কম। তাই গরু বিক্রয় করে তেমন লাভবান হতে পারছি না আমরা।


বিজ্ঞাপন


খামারি জসিম উদ্দিন ঢাকা মেইলকে বলেন, গতবার গরুর দাম ভালো থাকলেও এবার দাম কম। বর্তমানে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা কেজি দরে ভালো গরু বিক্রয় হচ্ছে।

এছাড়া ছাগলের দাম ভালো থাকলেও ক্রেতা কম থাকায় এবং বেশি বিক্রয় না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেক সাধারণ বিক্রেতা। 

আরও পড়ুন: বজ্রপাতে মারা গেল ১২ গবাদিপশু

ছাগল বিক্রেতা মো. নূর আলম হোসেন নূর বলেন, এবার ছাগলের ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে। রাম জাতের খাসি ছাগলের দাম বলেছি ৫০ হাজার টাকা। ক্রেতারা দাম বলতেছে ২৩ হাজার টাকা। 

অন্যদিকে কয়েক হাট ঘুরেও ছাগল বিক্রয় করতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করে মো. সহিদুল ইসলাম ও সঞ্চয়। তারা বলেন, ভালো দাম পাওয়ার আশায় আমরা গরু-ছাগল পালন করি। কিন্তু ছাগলগুলোকে নিয়ে বিভিন্ন হাটে ঘুরছি, কিন্তু ক্রেতা না পাওয়ায় ও দাম কম বলায় বিক্রিয় করতে পারছি না। 

এবার পশুর খাদ্য থেকে শুরু করে সব কিছুর দাম বেশির ফলে পশুর দামও কিছুটা বাড়তি উল্লেখ করে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ ঢাকা মেইলকে বলেন, জেলায় চাহিদার তুলনায় এবার ৪০ হাজারেরও বেশি পশু প্রস্তুত করেছে খামারিরা ও স্থানীয় পশু পালনকারীরা। এ বিষয়ে আমরা তাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি। এছাড়া পশু মোটা-তাজা করতে কোনো প্রকার ওষুধ ব্যবহার না করার বিষয়ে সতর্ক করেছি।

সেনুয়া পশু হাট কমিটির সদস্য হামিদুল ইসলাম উজ্জ্বল ঢাকা মেইলকে বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার হাটে পশু আমদানি অনেক বেশি। লোকসমাগমও অনেক বেশি। তবে এবার ঈদের শেষ মুহূর্তে এসে গরুর দাম কিছুটা কমেছে। তবে কিছু দিন আগেও দাম বেশি ছিল। 

প্রতিনিধি/ এমইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর