গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার গোহালা ইউনিয়নের মুনিরকান্দি গ্রামে ঘুমন্ত স্ত্রী ও সন্তানের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেওয়ার ছয়দিন পর দগ্ধ হেলেনা আক্তারের(৩৬) মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (১০ জুন) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বিজ্ঞাপন
এ ঘটনায় হেলেনা আক্তারের দগ্ধ ছেলে অন্তরের (১১) অবস্থাও আশঙ্কাজনক। সে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি রয়েছে।
এর আগে, গত ৪ জুন দিবাগত রাত ১টার দিকে তাদের গায়ে আগুন দেওয়া হয় বলে ভুক্তভোগী হেলেনার ভাই ইমরান হোসেন জানিয়েছেন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়। শরীরের ৫০ শতাংশ পুড়ে যাওয়ায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে প্রেরণ করেন।
জানা গেছে, স্বামী ওমসান শেখ তার শ্বশুরবাড়ি মুনিরকান্দি গ্রামে অবস্থানরত ঘুমন্ত স্ত্রী হেলেনা (৩৬) ও তাদের সন্তান অন্তরের (১১) গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। ওসমান মাদকাসক্ত থাকায় পারিবারিক ও দাম্পত্য কলহে অগ্নিদগ্ধ হেলেনা বেগম সন্তান অন্তরকে নিয়ে বাবার বাড়িতে থাকতেন। এই বিরোধে ওসমান গভীর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় তাদের গায়ে পেট্রোল ছুড়ে আগুন লাগিয়ে স্ত্রী সন্তানকে হত্যার চেষ্টা করে বলে পরিবার ও এলাকাবাসী জানিয়েছে।
মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফুল আলম জানান, স্বামীর দেওয়া আগুনে দগ্ধ হেলেনা আক্তার ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। আগুন দেওয়ার ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত ওসমান শেখকে গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/ এজে