বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

বাজারে তরমুজের চাহিদা কমেছে 

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১৭ মে ২০২২, ০৭:৫৪ পিএম

শেয়ার করুন:

বাজারে তরমুজের চাহিদা কমেছে 
ছবি: ঢাকা মেইল

ঈদের পর থেকে তরমুজের দাম কমেছে পটুয়াখালীর বাজারগুলোতে। এতে স্বস্তি বিরাজ করছে ভোক্তা পর্যায়ে। প্রতি পিসে আকার ভেদে ৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত কমে বিক্রি হলেও বর্তমানে তরমুজের চাহিদা অনেকটা কম।

পটুয়াখালীর নিউ মার্কেট ও পুরান বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি ছোট সাইজের তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৭৫ টাকা, মাঝারি সাইজের তরমুজ ৯০ থেকে  ১২০ টাকা, বড় সাইজের তরমুজ ১৪০ থেকে ১৭০ টাকা। যেখানে রমজান মাসে ছোট সাইজের তরমুজ বিক্রি হত ১০০ টাকার উপরে, আর বড় সাইজের তরমুজ সর্বনিম্ন ৪০০ টাকা।


বিজ্ঞাপন


নিউমার্কেটের খুচরা ব্যাবসায়ী নয়ন ঘোষ জানান, আগে আড়ৎ থেকে ছোট সাইজ তরমুজের শত কিনতাম পাইকারি ১০ হাজারের উপরে এরপর আড়তদারি ও লেবার খরচ দিয়ে প্রতিটি গড়ে ১১০ থেকে১২০ টাকার মত খরচ হতো। বাজারে ১৩০ টাকা থেকে ১৮০ টাকা পর্যন্ত একেকটি  তরমুজ বিক্রি হত। বড় সাইজের শত কিনতাম ২০ থেকে ২৫ হাজারের উপরে বিক্রি হত ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকায়। ঈদের পরে তরমুজের চাহিদা ও দাম কমেছে। বিশেষ করে কয়েকদিন টানা বৃষ্টি থাকায় তরমুজের দাম অনেক কমেছে। এখন বাজারে আমাদের এই অঞ্চলের তরমুজ নাই। খুলনা ও অনান্য অঞ্চল থেকে তরমুজ আসে। আমরা সাইজ অনুযায়ী  সাড়ে তিন হাজার থেকে ১০ হাজার টাকায় শত কিনি ৫০ টাকা থেকে ১৫০ টাকায় পিস বিক্রি করি। বাজারে আম, আমরুল লিচু ইত্যাদি নানান ফল আসায় তরমুজ অনেক কম চলে।
পুরান বাজারের ব্যাবসায়ী মোঃ আবুবক্কর বলেন, রোজায় তরমুজের চাহিদা ছিল অনেক। ইফতারির জন্য অনেকেই তরমুজ কিনতেন। একেবারে গরীব মানুষেরা না কিনতে পারলেও তখন প্রচুর বিক্রি হত। এখন তরমুজের চালান কম, দামেও অনেক সস্তা এবং স্বাদও ভালো। যারা আগে কিনতে পারতোনা তারা কিনছেন। যাদের অবস্থা ভালো তারা আম, লিচু ও অন্যান্য ফল কিনছেন।

ক্রেতা সুব্রত দাস, রাসেল, জাকারিয়া সহ আরো অনেকে জানান, রোজার সময় তরমুজের অনেক দাম ছিল সবদিন কিনতে পারতাম না। দেড় থেকে দুই'শ টাকার নিচে তরমুজ কেনা যেতোনা এখন ৬০/৭০ টাকায় তরমুজ কেনা যাচ্ছে। একটু বড় সাইজ ১০০ টাকার উপরে। 
কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর পটুয়াখালীর উপ-পরিচালক একেএম মহিউদ্দিন জানান, এবছর লক্ষমাত্রার প্রায় দ্বিগুন জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। কিছু কিছু এলাকায় পোকার আক্রমন ছাড়া অধিকাংশ এলাকায় তরমুজের ফলন ভালো হয়েছে। জেলায় প্রায় ৮ লক্ষ মেট্রিকটন তরমুজ উৎপাদন হয়েছে। আগাম জাতের তরমুজ চাষ করায় চাষিরা আগেভাগেই ক্ষেতের তরমুজ বিক্রি করতে পেরেছেন। যেহেতু বাজারে কেজি হিসেবে বিক্রি হয় তাই আমরা চেষ্টা করছি চাষিরাও যাতে ভবিষ্যতে ক্ষেত থেকে তরমুজ কেজি হিসেবে বিক্রি করতে পারেন। তাহলে চাষিরাও ভালো দাম পাবেন এবং ক্রেতারাও কম দামে কিনতে পারবেন। বাজারে বিভিন্ন মৌসুমী ফল আসায় তরমুজের চাহিদা ও দাম কমেছে বলে মনে করেন তিনি।

এ বছর পটুয়াখালী জেলায় প্রায় ২৪ হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ হয়েছে। যা গত বছরের প্রায় দ্বিগুণ। এরমধ্যে শুধু রাঙ্গাবালী উপজেলায় প্রায় সাড়ে নয় হাজার হেক্টর জমিতে  তরমুজ চাষ হয়েছে। ভাইরাস ও পোকার আক্রমনে নষ্ট হয়েছে প্রায় এক হাজার হেক্টর জমির তরমুজ। এ কারনে জেলায় তরমুজ উৎপাদনের কাঙ্খিত লক্ষমাত্রা অর্জিত হয়নি।

এজে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর