কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে প্রতিবছরই দেশের বড় বড় খামারগুলো তৈরি করে আসছে ছোট-বড় আকারের নানান জাতের গরু। শুধু বড় খামার নয়, দেশের বিভিন্ন জায়গায় পারিবারিকভাবে ছোট খামারেও প্রাকৃতিক উপায়ে গরু মোটাতাজা করা হয়। প্রতিবছরই আলোচনায় আসে সবচেয়ে বড় আকারের গরুগুলোর নাম।
এবার জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের দেউলি গ্রামের সামছুল আলম ববি একটি বিশাল আকৃতির গরু প্রস্তুত করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। গরুটির নাম দিয়েছেন সম্রাট।
বিজ্ঞাপন
প্রচলিত পদ্ধতির পরিমাপে গরুটির বর্তমান ওজন ৩০ মণ। সম্রাটের বয়স তিনবছর ২ মাস। নাম তার সাদা সম্রাট। মুখ, বাম পাজর ও পিছনে কালো ছোট ছোট ছোপ আকৃতির দাগ যেন তার সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। সম্রাটকে শুকনা খড় ও কাঁচা ঘাসের পাশাপাশি কলা, মাল্টা কমলালেবু, চিড়া ও চিটাগুড় প্রতিদিন খাওয়াতে হয়। এরইমধ্যে বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষজন আসছেন গরুটি দেখতে। গরুটি তিনি বাড়ি থেকে বিক্রি করতে চান ১২ লাখ টাকায়।
সম্রাটের পরিচর্যাকারী খামারী সামছুল আলম ববির ছোট ভাই আক্তারুজ্জামান জানান, সম্রাটকে সন্তানের মতো সেবা করতে হয়। চিকিৎসার জন্য সার্বক্ষণিক স্থানীয় প্রাণিসম্পদ বিভাগের সহযোগিতা নেওয়া হয়। ঈদ এবং বড় গরুর কারণে প্রতিদিনই সম্রাটকে দেখতে দূর-দূরান্তসহ আশপাশের মানুষ বাড়িতে আসছে। প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে পরিমাপ করে সম্রাটের ওজন এক হাজার ১২৫ কেজি, অর্থাৎ ৩০ মণ বলে জানিয়েছেন।
সামছুল আলম ববি বলেন, তিন বছর আগে নিজ বাড়িতে ফ্রিজিয়ান জাতের একটা গরু কিনেন। ওই গরুর বাছুর তিন বছর ধরো গরু লালন পালন করে আসছে। তিন বছর পর সেই বাছুর আজ মস্ত বড় ষাড়। নাম তার সাদা সম্রাট আর ওজন ৩০ মণ। তবে গায়ে গতরে বড় হলেও অনেক শান্ত সাদা সম্রাট। খাওয়া-দাওয়া শেষ হলে একটু বিশ্রাম না হলে চলে না। সাধারণত দাঁড়িয়ে থাকলেও খাবারের পর বসে মেঝেতে শরীর এলিয়ে দিয়ে দুই চোখ বুজে বিশ্রাম নিয়ে নেয় গরুটি।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা.মহির উদ্দিন জানান, জেলা জুড়ে সামছুল আলম ববি গরুর মতো এমন বিশাল আকারের গরু অনেক খামারিই এবার প্রস্তুত করেছেন। বিভিন্ন পরামর্শসহ তাদের গরুগুলো বাজারজাত করতে স্থানীয় প্রাণিসম্পদ অধিদফতর বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে আসছে।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/ এজে

