শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

বিজয়নগরে ইউপি চেয়ারম্যানের মাথা ফাটালো পুলিশ 

জেলা প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া 
প্রকাশিত: ২৭ মে ২০২৪, ০৫:২১ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে পুলিশের মারধরে মাথা ফেটেছে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের। আহত এ চেয়ারম্যানকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ।

সোমবার (২৭ মে) দুপুর ১২টায় বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বাসায় এ ঘটনা ঘটে বলে দাবি করা হচ্ছে।


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে পেট্রোল পাম্পে নো হেলমেট, নো ফুয়েল

আহত চেয়ারম্যান জামাল ভূইয়া বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি ছতুরপুর গ্রামের আব্দুল হক প্রকাশ ওরফে তাবু ভূইয়ার ছেলে। তিনি বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান।

আহত জামাল ভূইয়া বলেন, অতীতে আমার নামে ৮৭৭/২০ সিআর নং ৪২০/১৮-এর একটি মামলা ছিল। সেই মামলায় রোববার কোর্ট থেকে জামিন নিয়েছি। জামিন নেওয়ার পর (রিকল) একটি পেপারও নিয়েছি, যেন পুলিশ বুঝতে পারে আমি জামিনে আছি। 

তিনি বলেন, আজ দুপুরে বিজয়নগর থানার ওসি তদন্ত জামিল খান ও এসআই পিযূষ এবং উপজেলার চম্পকনগর পুলিশ ক্যাম্পের দায়িত্বরত ইনচার্জ রবিউল ইসলাম আমার বাড়িতে উপস্থিত হয়ে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে আমাকে নিয়ে যেতে চাচ্ছিল। 


বিজ্ঞাপন


পরে আমি জিজ্ঞসা করলে বলেন, আমার নামে নাকি ওয়ারেন্ট আছে। পরে তাদেরকে বলি যে গতকালকে জামিন নিয়েছি ও জামিনের রিকল দেখানোর পরেও পুলিশ সদস্যরা বিনা কারণে আমার বাড়ি-ঘর ভাংচুর করে। এরপর তারা আমাকে মারধর করলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে চিকিৎসা নেই। 

আরও পড়ুন: গাজীপুরে গর্ভবতী নারীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা, আটক ১

তিনি বলেন, দিন-দুপুরে একজন জনপ্রতিনিধির বাড়িতে পুলিশের এমন আচরণে আমার পরিবারের সবাই আতঙ্কে রয়েছে। আমি এসপি মহোদয়ের মোবাইলে কল দিয়েছি। তিনি কল ধরেননি, কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপে সব ছবি পাঠিয়ে মেসেজ দিয়েছি, এখন আমার বাড়িতে ডিএসবি পুলিশ এসেছে। 

তিনি বলেন, এ ঘটনায় তিনি বিজয়নগর থানার ওসি'সহ তিন পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করবেন।

এ ব্যাপারে চম্পকনগর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই রবিউল ইসলাম বলেন, আপনি (সাংবাদিক) থানার ওসি (তদন্ত) স্যারের সঙ্গে কথা বলুন।

বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) জামিল খান বলেন, চেয়ারম্যান ও তার বাবা ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। তাদের ধরতে বাসায় গেলে চেয়ারম্যান তার জামিনকৃত পেপার দেখালে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তার বাবা ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি হওয়ায় তাকে নিয়ে এসেছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চেয়ারম্যানের মাথায় পিস্তল ঠেকানো, তার বাড়ি-ঘর ভাংচুর এবং টাকা নিয়ে আসার বিষয়টি মিথ্যা গল্প।

প্রতিনিধি/ এমইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর