ঘূর্ণিঝড় রেমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বাগেরহাটে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখানো হয়েছে। এদিকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপ রেমালের প্রবাহে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
রোববার (২৬ মে) সকাল থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্নতার পাশাপাশি গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এর আগে মোংলা সমুদ্রবন্দর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সাত নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছিল আবহাওয়া অধিদফতর।
বিজ্ঞাপন
মংলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন আর রশিদ জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৪০৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হতে পারে। এ কারণে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত তুলে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে শুরু করায় এর প্রাথমিক প্রস্তুতিও নিতে শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন। ঘূর্ণিঝড় রেমাল আঘাত হানার সম্পর্কে সতর্কতা ও প্রস্তুতি গ্রহণ কার্যক্রম শুরু করেছে উপকূলীয় উপজেলা প্রশাসন। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) সদস্যরাও প্রস্তুত রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
মেরেলগঞ্জ উপজেলার খাউলিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মো. মশিউর রহমান বলেন, সকাল থেকে কালো মেঘ দেখেছি। থেমে থেমে বৃষ্টিও পড়ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের জারি করা ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত শুনে নদী তীরবর্তি ও অধিক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের আশ্রয় কেন্দ্রে আনার ব্যবস্থা করছি।
আশ্রয় কেন্দ্রে আসা দশ বছরের আকলিমা জানায়, আজ আমার পঞ্চম শ্রেণির পরীক্ষা ছিল কিন্তু ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে আশ্রয় কেন্দ্রে এসেছি। পরীক্ষা হবে কিনা জানি না।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের মোংলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ হারুন অর রশিদ বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমাল ক্রমেই উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। বর্তমানে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহা. খালিদ হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় জেলায় মোট ৩৫৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি রোববার সন্ধ্যা নাগাদ বাগেরহাট উপকূলে আঘাত হানতে পারে। রোববার দুপুরের ভেতর সবাই যেন আশ্রয়কেন্দ্রে যায় সে লক্ষ্যে মাইকিং করে আহ্বান জানানো হচ্ছে।
প্রতিনিধি/টিবি