শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে উপকূলের নদ-নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি 

জেলা প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা
প্রকাশিত: ২৫ মে ২০২৪, ০৭:৩৯ পিএম

শেয়ার করুন:

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে উপকূলের নদ-নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি 

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপকূলে। পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি ধীরে ঘনীভূত হচ্ছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

শনিবার (২৫ মে) রাত ৩টার দিকে এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।


বিজ্ঞাপন


এরই মধ্যে বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপকূলের নদ-নদীগুলোতে স্বাভাবিকের চেয়ে জোয়ারের পানি বেড়ে ঝড়ো বাতাসের সঙ্গে উপকূলের জরাজীর্ণ বেড়িবাঁধের ওপর আচড়ে পড়ছে।

river_1

এতে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে উপকূলের মানুষ। দুপুরের জোয়ারের সময় শ্যামনগর উপজেলার উপকূলবর্তী গাবুরা, পদ্মপুকুর, আটুলিয়া, বুড়িগোয়ালিনী, কৈখালী, রমজাননগর ও মুন্সিগঞ্জ এলাকায় নদীপাড়ের বসবাসকারীদের কাছ থেকে জানা গেছে স্বাভাবিক জোয়ার ছাড়া নদীতে দুই থেকে তিন ফুট পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

উপজেলার আটুলিয়া থেকে জুবায়ের মাহমুদ জানান, উপকূলীয় এলাকায় সকাল থেকেই ঝড়ো বাতাস বইছে। দুপুরের জোয়ারে খোলপেটুয়া নদীতে স্বাভাবিক জোয়ার ছাড়া ২-৩ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। উত্তাল হতে শুরু করেছে নদী। সঙ্গে মাঝে মাঝে বৃষ্টি হচ্ছে।


বিজ্ঞাপন


river_2

গাবুরা ইউনিয়ন থেকে হুদা মালি জানান, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাব ও পূর্ণিমার জোয়ারের কারণে খোলপেটুয়া ও কপোতাক্ষ নদীতে স্বাভাবিক জোয়ার ছাড়া ২-৩ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে গাবুরার পরিস্থিতি এখনো পর্যন্ত স্বাভাবিক রয়েছে। 

ইতোমধ্যে শ্যামনগর উপকূলের চুনা নদীতে স্বাভাবিক জোয়ার ছাড়া পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের কলবাড়ি চুষা নদীর চরে জেলেপাড়ায় বসবাসকারী ১৩টি জেলে পরিবারের মধ্যে অধিকাংশের বসত ঘরের আঙ্গিনায় জোয়ারের পানি উঠার খবর পাওয়া গেছে।

river_3

শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজিবুল আলম বলেন, উপজেলায় ১৬৩টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া প্রয়োজনে বি‌ভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য বহুতল ভবন নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ব্যবহার করা হবে। 

এছাড়া, জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় শুকনা খাবারসহ প্রয়োজনীয় ত্রাণসামগ্রী মজুত আছে। আমরা ঘূ‌র্ণিঝড়ের সতর্কবার্তা দেখে সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করব। তবে সবার জন্য বলব, কেউ যেন ঝুঁকি নিয়ে অনিরাপদ আশ্রয়ে না থাকেন।’ 

river_4

এদিকে, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় রিমালের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে ও উদ্ধার তৎপরতা চালানোর জন্য ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি), রে‌ড‌ ক্রিসেন্টসহ বি‌ভিন্ন বেসরকা‌রি প্রতিষ্ঠানের স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বা‌হিনী, ফায়ার সা‌র্ভিস ও রোভার স্কাউটের সদস্যরাও যেকোনো ধরনের সহায়তার জন্য প্রস্তুত আছেন বলে জানা গেছে।‌

শ্যামনগর উপজেলা যুব রেড ক্রিসেন্টের টিমলিডার আনিসুর রহমান মিলন বলেন, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় রিমেল ক্ষয়ক্ষতি কমাতে ও উদ্ধার তৎপরতা চালানোর জন্য শ্যামনগর উপজেলা যুব রেড ক্রিসেন্টের ৭০জন সদস্যের একটি শক্তিশালী টিম ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে। এছাড়াও সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের জন্য শ্যামনগর উপজেলার জন্য যুব রেড ক্রিসেন্টের হটলাইন চালু করা হয়েছে যার নং- ০১৩০৯-৯৩৫৪১২।

প্রতিনিধি/এজে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর