ভোলার লালমোহন উপজেলায় পুলিশ সদস্যকে মারধরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) জেলা পুলিশ সুপারের দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এসআই কে এম আবদুল হক বুধবার (২২ মে) পৌরসভার ৬ নম্বরে হাইস্কুল মার্কেটে মাইমুনা ফ্যাশন দোকানের সামনে দায়িত্ব পালন করছিলেন। লালমোহন উপজেলায় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আক্তার হোসেন শালিক মার্কার কর্মী-সমর্থকরা মিছিল করার সময় আবদুল হক ফোনে স্থিরচিত্র ধারণ করায় শালিক মার্কার কর্মী-সমর্থক মো. সোহান, মো. রাসেল, মো. আরিফ, মো. নিহাত, মো. রিপন, মো. জিহাদ, মেহেদীসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১৫-২০ জন সরকারি কাজে বাধা প্রদান করে।
পুলিশ সদস্যকে এলোপাতাড়ি চড়-থাপ্পড়, কিল-ঘুষি মেরে আহত করেন। এ ছাড়া প্রকাশ্যে খুন ও জখমের হুমকি প্রদান করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে। সংবাদ পেয়ে লালমোহন থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কে এম আবদুল হককে উদ্ধার করে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান ভর্তি করেন। এ ঘটনায় আবদুল হক লালমোহন থানায় একটি মামলা করেছে।
লালমোহন থানার ওসি মাহাবুবুল আলম বলেন, কে এম আব্দুল হককে মারধরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
পুলিশ কর্মকর্তার ওপর নিজের কর্মী-সমর্থকদের হামলার বিষয়ে জানতে শালিক প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আকতার হোসেনের মোবাইল ফোনে কল দিলে ব্যস্ততা দেখিয়ে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন তিনি।
প্রতিনিধি/এসএস