কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার একটি ভোটকেন্দ্রে একাই ২০ ভোটের বেশি দিতে দেখা গেছে এক যুবককে। চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে জাল ভোট দেওয়ার ওই ভিডিও ভাইরাল হতেই বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সমালোচনা শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ মে) বেলা আড়াইটার দিকে আমবাড়িয়া ইউনিয়নের বামনগাড়ী গ্রামের শহীদ তিতুমীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
বিষয়টি সম্পর্কে প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম, সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসেন আনারস এবং সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শরিফুল ইসলাম লিটন মোটর সাইকেল প্রতীকে নির্বাচন করেন। বিজয়ী হয়েছেন অ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম।
কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার আব্দুল হালিম বলেন, ঘটনার সময় আমি নামাজ পড়ছিলাম। কেন্দ্রে নিরাপত্তা কর্মী ছিল পুলিশ। বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, এক যুবক ভোটকেন্দ্রে ঢুকে প্রকাশ্যে সাদা (চেয়ারম্যান পদে) ও গোলাপী (ভাইস চেয়ারম্যান) রঙের ব্যালটে ভোট দিচ্ছেন। পরপর ২০টির বেশি ব্যালট পেপারে তিনি সিল মেরে ব্যালট বাক্সে ফেলে চলে যান। জাল ভোট দেওয়ার সেই ভিডিও একজন গণমাধ্যমকর্মী ক্যামেরাবন্দি করেন।
বিজ্ঞাপন
ভিডিওতে আরও দেখা যায়, টি শার্ট ও জিন্স পরিহিত একজন যুবক ভোট কক্ষের ভেতরে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের সামনেই সাদা ও গোলাপী রঙের ব্যালটে সিল মারতে থাকে। এ সময় দায়িত্বরত নির্বাচনী কর্মকর্তা ও পুলিশকে তাকে কিছু বলতে দেখা যায়নি। তবে তাৎক্ষণিক ওই যুবকের পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।
এছাড়া আমবাড়িয়া নকরবাকা প্রাথমিক বিদ্যালয়েও এক যুবককে প্রকাশ্যে জাল ভোট দিতে দেখা গেছে।
এবিষয়ে কুষ্টিয়ার সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবু আনসার বলেন, আমি যতদূর জানি প্রিসাইডিং অফিসার জাল ভোটগুলো বাতিল করেছেন।
প্রতিনিধি/জেবি