চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে নিজ ঘরে আড়ার সঙ্গে গলায় লুঙ্গি পেঁচিয়ে মো.ওয়াহিদুল আলম তারেক (২০) নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। ছেলের এ ঘটনা দেখে সঙ্গে সঙ্গেই বিষপানে মা তাহমিনা আক্তার আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
রোববার (১৯ মে) সন্ধ্যায় পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সুরত মিয়া দফাদারের বাড়িত (মাইজ পাড়া) ঘটনাটি ঘটে।
বিজ্ঞাপন
এ ঘটনায় ছেলের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য যখন হাসপাতালের মর্গে অপেক্ষা করছে, তখন তার মা একই হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন।
মৃত ওয়াহিদুল আলম তারেক ওই বাড়ির দিদারুল আলমের ছেলে। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে সে সবার বড়।
জানা যায়, পরিবারের অজান্তে শয়নকক্ষের দরজা বন্ধ করে ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় লুঙ্গি পেঁচিয়ে ঝুলছিল তারেক। ঘরের জানালা দিয়ে অভি নামে তার এক চাচাতো ভাই তাকে ঝুলতে দেখে চিৎকার দিয়ে সবাইকে তা জানায়। চিৎকার শুনে তারেকের মা গিয়ে দরজার খুলে তার এ অবস্থা দেখে সঙ্গে সঙ্গে বিষপান করেন।
পরে স্থানীয়রা তাদের দু’জনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা তারেককে মৃত ঘোষণা করে এবং তার মাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠান।
পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপস্থিত হয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করে।
নিহতের চাচাতো ভাই রাফসান মাহিন অভি জানান, আমি তারেক ভাইয়ের রুমের পার্শ্ববর্তী গরুর ঘরে গেলে ভাইয়াকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে চিৎকার দেই। সবাই আমার চিৎকার শুনে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
এদিকে নিহতের চাচা মো. মুজাফফর জানান, হঠাৎ কেন এমন করেছে আমরা বুঝতে পারছি না। এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি তাকে আত্মহত্যা করতে হবে। তবে পরিবারে অভাব অনটন ছিল। তাই টাকা-পয়সার অভাবে মানসিকভাবে সব সময় কষ্টে থাকার কথা জানতাম।
এ বিষয়ে হাটহাজারী মডেল থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান বলেন, হাসপাতালে নেওয়ার পর তারা আমাদের জানায়। আমরা লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালে পাঠিয়েছি। ময়নাতদন্তের পর পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রতিনিধি/এসএস