জামালপুরে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও মাদরাসা সুপারের যোগসাজশে একটি মাদরাসার নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধের অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (১৭ মে) জামালপুর সদর উপজেলার ইদিলপুর দাখিল মাদরাসার দু’টি পদের নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও কাউকে না জানিয়ে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন চাকরি প্রার্থীরা। এই বিষয়ে মাদরাসার সভাপতি ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরাও কিছু জানেন না।
বিজ্ঞাপন
জানা যায়, গত ৩০ জানুয়ারি একটা জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার ও পরিচ্ছন্ন কর্মী এ দু’টি পদের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ইদিলপুর দাখিল মাদরাসা।
এ দু’টি পদের জন্য সর্বমোট ২২ জন চাকরি প্রত্যাশী তাদের আবেদনপত্র জমা দেন। তবে শুক্রবার ১৭ মে অত্র প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও আকস্মিক পরীক্ষা বাতিল করে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও মাদরাসা সুপার।
মাদরাসা সুপার ১৬ মে গভীর রাতে নিয়মবহির্ভূতভাবে মাদরাসায় একটি নোটিশ টানিয়ে দেয়। তবে কি কারণে এ নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল হলো এ বিষয়ে নোটিশে কোনো সুস্পষ্ট কারণ উল্লেখ করা হয়নি।
বিজ্ঞাপন
এদিকে নির্দিষ্ট সময়ে চাকরি প্রার্থীরা পরীক্ষা দিতে এসে পরীক্ষা না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
পরীক্ষা দিতে আসা ইয়াসিন আরাফাত রিমন জানান, তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তিনি অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে আবেদন করেছিলেন। করেকদিন আগে আর পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড আসে। যেখানে আজকে পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাদের কোনো কিছু না জানিয়ে এভাবে পরীক্ষা স্থগিত হওয়াতে হতাশ তারা।
মাদরাসা সভাপতি আনসার আলী বলেন, আজকে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য মাদরাসায় গিয়ে দেখতে পায় নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। মাদরাসা সুপারের স্বাক্ষরিত একটি নোটিশ টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কি কারণে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে আমি বা আমার ম্যানেজিং কমিটির কারও জানা নেই।
মাদরাসা সুপার মাওলানা মো. নুরুল আমিন বলেন, বৃহস্পতিবার (১৬ মে) তাকে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন এ নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করতে বলেছেন। তাই পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ছানোয়ার হোসেন বলেন, ইদিলপুর এলাকার মানুষের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এমপি মহোদয় নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করতে বলেছেন। পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে কিনা তা মাদরাসা কর্তৃপক্ষের ওপর নির্ভর করে। তবে পরীক্ষা স্থগিত বিষয়ে ইদিলপুর দাখিল মাদরাসায় কোন নোটিশ দেওয়া হয়নি, শুধু ফোনে বলে দেওয়া হয়েছে।
জামালপুর -৫ আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, শিক্ষা কর্মকর্তাকে এ ধরনের কোনো নির্দেশ দেওয়া হয়নি। তাকে শুধু বিধি মোতাবেক নিয়োগ দিতে বলা হয়েছে।
প্রতিনিধি/এসএস