ফেনীর সোনাগাজীতে যৌতুক ও নারী নির্যাতনের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দেড় বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা পেয়েছিলেন মো. ইসমাইল (৪৫)। সাজা থেকে বাঁচতে সাত বছর পালিয়ে ছিলেন তিনি। তবে শেষ রক্ষা হয়নি।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার সমপুর এলাকার নিজ বাড়ি থেকে ইসমাইলকে গ্রেফতার করা হয়। পরে বুধবার (১৫ মে) তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ইসমাইল উপজেলার মঙ্গলকান্দি ইউনিয়নের সমপুর এলাকার নুরুল হকের ছেলে।
বিজ্ঞাপন
পুলিশ জানায়, মো. ইসমাইল প্রথম স্ত্রীর সম্মতি না নিয়ে দুটি বিয়ে করেন। ২০১৭ সালে যৌতুক ও নারী নির্যাতনের অভিযোগে তাঁর প্রথম স্ত্রী বাদী হয়ে ফেনীর পারিবারিক আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। সপ্তাহখানেক কারাভোগের পর তিনি জামিনে বের হয়ে আত্মগোপনে চলে যান। এরপর তিনি আর আদালতে হাজির হননি। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত তাঁকে দেড় বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকার অর্থদণ্ড দেন।
সোনাগাজী মডেল থানার এএসআই মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, আদালত থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা পাওয়ার পর ইসমাইলের খোঁজে মাঠে নামেন। কিন্তু গ্রেফতার এড়াতে তিনি প্রায়ই স্থান পরিবর্তন করতেন। কয়েকদিন আগে তারা জানতে পারেন ইসমাইল ঢাকায় থাকেন। মাঝে মধ্যে রাতে বাড়িতে এসে আবার ভোর হওয়ার আগে চলে যান। পরে ইসমাইলের মোবাইল নম্বর ও ছবি সংগ্রহ করে সেই সূত্র ধরে উপজেলার সমপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি সুদ্বীপ রায় বলেন, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতের মাধ্যমে তাকে ফেনীর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/একেবি