ঝালকাঠি সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের উঠান বৈঠকে প্রতিপক্ষের হামলায় দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী সাবেক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. সুলতান হোসেন খানসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার(১৪ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে শহরের কীর্ত্তিপাশা মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন

আহতরা হলেন, জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট এসএম রুহুল আমীন রিজভী , মো. সুলতান হোসেন খানের সমর্থক কেএস জাহিদ, মনির খান, রুবেল হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক মিলু, সাংবাদিক শফিউল ইসলাম সৈকত প্রমুখ । এসময় চেয়ারম্যান প্রার্থী সুলতান হোসেন খানের গাড়ি ও শতাধিক চেয়ার ভাংচুর করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী উঠান বৈঠকের আয়োজন করে দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী, সাবেক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. সুলতান হোসেন খান। সভার শেষ দিকে মো. সুলতান হোসেন খান বক্তব্য রাখতে শুরু করলে অর্তকিতভাবে হামলা করা হয়। এতে মো. সুলতান হোসেন খানসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হন। গুরুতর অবস্থায় মো. সুলতান হোসেন খানসহ অন্যদের উদ্ধার করে প্রথমে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য মো. সুলতান হোসেন খানসহ কমপক্ষে ১০ জনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বিজ্ঞাপন

মো. সুলতান হোসেন খানের সমর্থক আহত কেএস জাহিদ বলেন, আনারস প্রতিকের প্রার্থী খান আরিফুর রহমানের সমর্থক ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা পুলিশের সামনে দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী মো. সুলতান হোসেন খানের সভায় হামলা করে। হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই।
এ বিষয়ে ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মুহিতুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনার সাথে যারা জরিত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী খান আরিফুর রহমান বলেন, আমার কোনো লোকজন হামলা করে নাই। এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তবে কীর্ত্তিপাশার মোড়ে আমার নির্বাচনী ক্যম্প ভাংচুর করা হয়েছে।
প্রতিনিধি/এমএইচএম

